dailynobobarta logo
আজ মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

ঘিওরে বাড়তি টাকা দিলেই মিলছে সার!

প্রতিবেদক
আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

কৃষি নির্ভর মানিকগঞ্জের ঘিওরে সার সঙ্কটে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। ডিলাররা তাদের ইচ্ছামত দাম আদায় করছেন কৃষকের নিকট থেকে। বর্তমানে সব ধরনের সার বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২০০-২৫০ টাকা হারে। ১০০০ টাকার টাকার পটাশ বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকা দামে। আর ১২০০ টাকার টিএসপি বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ শত টাকা দামে।

সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১৩৫০ টাকা দামের ইউরিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকায়। এতে করে এই রবি মৌসুমে আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষ করতে গিয়ে ব্যাপক হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। টাকার সঙ্কটে অনেক কৃষক জমির চাহিদামত সার প্রয়োগ করতেও পারছে না।

কৃষকরা বলছেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলাররা কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। ফলে অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে সার। কিন্তু ভাউচারে অতিরিক্ত মূল্য লিখা হচ্ছে না। ভাউচারের অতিরিক্ত দাম দিতে না চাইলে সারও দেওয়া হচ্ছেনা কৃষকদের। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কিন্তু ডিলাররা কৃত্রিম সঙ্কট মানতে নারাজ।

তারা বলছেন, চাহিদা মোতাবেক সার না পাওয়ায় সঙ্কট তৈরী হয়েছে। বেশি দামে তাদের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সার কিনতে হচ্ছে। বিশেষ করে টিএসপি সারের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর ওপর বেড়েছে পরিবহন খরচ। তার পরেও সরকারের বেধে দেওয়া দরেই সার বিক্রি করছেন তাঁরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জসহ সারাদেশে বর্তমানে আলু, পেঁয়াজ, ভুট্টা, মসুর, সরিষা চাষের মৌসুম চলছে। এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সারের প্রয়োজন হয়। আর এই মৌসুমে একদিকে সারের সঙ্কট অন্যদিকে দাম বেশি। যার কারণে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। আবার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সার বিক্রির জন্য ডিলার নিয়োগ দেওয়া হলেও অধিকাংশ ডিলাররা সার বিক্রি করছেন উপজেলা সদরে বসে। এতে করেও সার পেতে কৃষকদের বাড়তি ভোগান্তিসহ পরিবহণ খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

পয়লা গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘ডিলাররা গুদামে সার রেখে বলছেন সার নেই। আবার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা দিলে ঠিকই সার দেওয়া হচ্ছে। তবে বেশি দামে সার কেনার কোনো ভাউচার দিচ্ছেন না ডিলাররা।

দৌলতপুর উপজেলার খলসি গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সারের জন্য ডিলারদের দোকানে দোকানে ঘুরেও কখনো কখনো সার মিলছে না। ডিলাররা আগেই বেশি দামে সার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খুচরা দোকান থেকে বেশি দামে সার কিনতে হয়েছে।

অপরদিকে বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ঘিওর বাজারের ওয়ার্ড সার ডিলার মোঃ লিমন বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সার কম পাওয়ায় বাড়তি টাকা দিয়ে বিভিন্ন যায়গা থেকে সার কিনে আনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে খরচ পুশিয়ে নিতে একটু দাম বেশি নিতে হচ্ছে।’

অন্যদিকে চরাইলজুরি পঞ্চরাস্তা মোরে স্যারের জন্য দোকানের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা কৃষকরা দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছেন না সার।

ডিলার বাদশা মিয়া বলেন, ‘কারো নিকট থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে না। সার প্রয়োজনমতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কৃষকদের ভোগান্তি হচ্ছে।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে ঠিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। আর ডিলাররা আগে থেকেই যেখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন সেখানেই আছেন।’

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com