১৭ নভেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনের অংশ হিসেবে তপশিল ঘোষণা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল প্রসঙ্গে পরিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু সংলাপ নিয়ে ৩ পার্টির মহাসচিবকে যে চিঠি দিয়েছেন, আমি সেটার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছি, সংলাপ স্বল্পসময়ে সম্ভব নয়। সিইসির বক্তব্যের বিষয় আলাদা। সংলাপের রাজনীতিকে অস্বীকার করা যায় না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র সাংবিধানিক শাসনের অংশ হিসেবে তপশিল ঘোষণা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিইসির তপশিল ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৪৩ বছর দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। গণতান্ত্রিক শাসনের অংশ হিসেবে আজ তপশিল ঘোষণা হয়েছে। আজকের এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দের ও ঐতিহাসিক দিন। এর মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক স্থীতিশিলতা বজায় রাখার জন্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনসূচি ঘোষণা হওয়ায় সংলাপের আর সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন সংলাপের জন্য ডেকেছিল, তারা আসেনি। যে ট্রেন ছেড়ে গেলো সেই ট্রেন থামানোর আর সুযোগ নেই। নির্বাচনি ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। তারা না উঠলে ট্রেন ছেড়ে যাবে।’ কাদের জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হবে। শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ফরম বিক্রি উদ্বোধন করবেন সেদিনই।