বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পাল্টাপাল্টি মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষে জড়ায় দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
আহত হয়েছেন শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, এসআই হাসান, কনস্টেবল শামীম, রেজাউল, আলফাজ এবং সাংবাদিক এ জেট হিরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুই দলের অন্তত ২৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপির সাবেক সাংসদ জিএম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর শহরের হাসপাতাল রোডের মোড়ের সামনের দিকে যাচ্ছিলো। একই সময় ওই এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের একটি মিছিল আসে। সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশের কঠোরতায় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়।
আহতরা হলেন- উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মাজেদুল ইসলাম, সুঘাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামাল হোসেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত বেশ-কয়েকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে হাসপাতাল রোড এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পেছন থেকে এসে হামলা করেছে। তারা প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, বিএনপি প্রথমে আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। এরপর আমাদের লোকজন প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১০ জন আহত হন।
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ৷ এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।