ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন জামালপুরের সরিষাবাড়ি রেলস্টেশনে পৌঁছার পর তিনটি বগিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে হরতাল সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (১৯) সকালে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারি মাস্টার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে জামালপুর জিআরপি থানায় এ মামলা করেন।
এর আগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১টা ১০ মিনিটের দিকে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়ায় যমুনা ট্রেনটি। পরে ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করলে পেছনের তিনটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ট্রেনের ক, খ ও গ বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে দুটি বগি আগুনে ভস্মীভূত হয়। আগুনে প্রায় এককোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে যমুনা ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৬টায় পুড়ে যাওয়া বগি তিনটি রেখে তারাকান্দি স্টেশনে যায় এবং সরিষাবাড়ীতে ফিরে পোড়া বগিসহ ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যায়।
ট্রেনের বগিতে আগুন দেখে তৎক্ষণাৎ ৪ নারীসহ ১০ জন ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে আহত হন আশিকা সুলতানা, মমতাজ বেগম, জেল বেগম ও লাবনী আক্তার। তারা সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. তাহমিনা বেগম।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের কতর্ব্যরত সহকারী স্টেশনে মাস্টার আব্দুস সালাম জানান, ১টা ৭ মিনিটে সরিষাবাড়ি রেলস্টেশনে প্রবেশ করে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। পরে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য পয়েন্টসম্যান লাইন ক্লিয়ার দেয়। ট্রেনটি ১টা ১০ মিনিটে রান করার পর যাত্রীরা ডাকচিৎকার (আগুন আগুন) করলে কক্ষ থেকে বেরিয়ে বগিতে আগুন দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ গোলজার হোসেন জানান, কে বা কারা টেনে আগুন দিয়েছে প্রাথমিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে হরতাল সমর্থনকারীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুস সালাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং দোষী ব্যক্তিরা শনাক্ত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।