dailynobobarta logo
আজ সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

মণিরামপুরে ভুয়া বিয়ে, ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী

প্রতিবেদক
অমিতাভ মল্লিক, যশোর প্রতিনিধি
সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
বিয়ে

যশোর মণিরামপুর উপজেলার মাছনা পশ্চিম পাড়া গ্রামের প্রবাসী মশিয়ার রহমানের ছেলে আবু নাঈম বাহাদুর পুর গ্রামের অসহায় ঘাস ব্যাবসায়ী মিনটুর ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে শান্তা খাতুনকে ভালোবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলবন দেখিয়ে দির্ঘদিন যাবত অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলো বখাটে নাঈম, এক পর্যায়ে মেয়ে শান্তা খাতুন বিয়ের ব্যাপারে জোর দিলে সে কালার হাট গ্রামের কাজী কে দিয়ে ভুয়া বিবাহ করে, সেই ভুয়া বিয়ে পর থেকে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে শান্তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন আত্বীয় বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সর্ম্পক করে।

আবু নাঈমের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফিরলে জানতে পারেন, তার ছেলে আবু নাঈম পাশের গ্রামের গরীব অসহায় পরিবারে শান্তা নামে একটি মেয়ে কে গোপনে বিবাহ করেছে। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন কৌশলে(তার ছেলে কে লুকিয়ে রাখে। শান্তা কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নাঈম কে ডিভোর্স দিতে বলে নাঈমের বাবা মশিয়ার রহমান।শান্তা ও তার পিতা কে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়াই মণিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পেক্ষাপটে বিবাহের কাবিন নামা কাগজ পত্র সহ মণিরামপুর থানায় মিমাংসার জন্য ডেকে পাঠানো হয় দুই পরিবার কে। দুই লক্ষ, পঞ্চাশ হাজার টাকা কাবিন করে একটি কাবিননামা দেখালে জানা যায়, তারা প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় কাবিন নামা রেজিস্ট্রার হয়নি। এক পর্যায়ে প্রতারক নাঈমের বাবা মশিয়ার রহমান, শান্তা কে পুত্র বঁধু স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে নেওয়ার কথা বলে অভিযোগ তুলে নিতে বলেন। কিন্তু প্রতারক মশিয়ার রহমান গোপনে একটি মামলা করেন শান্তা ও তার পিতা মাতা,সহ কয়েক জনের নামে।

ইতি মধ্যে প্রতারক মশিয়ার রহমান প্রবাসে পাড়ি দেন,সেই সুযোগে নাঈম গত ঈদ থেকে শশুর বাড়িতে রয়েছেন। দিনে বাড়িতে ও রাতে শশুর বাড়িতে রাত্রি যাপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রতারক নাঈমের মা শাহনাজ পারভীন তার পুত্র বঁধু কে ফোন করে জানায় নাঈম কে বিদেশে পাঠাবো তুমার বাবা কে বলো ৫ লক্ষ টাকা দিতে। যদি ৫ লক্ষ টাকা না দেই কখনো তাকে পুত্র বঁধু স্বীকৃতি দিবে না বলে জানায়। বিদেশ থেকে নাঈমের বাবা মশিয়ার রহমান ও ৫লক্ষ টাকা দাবী করেন।কিন্তু গোপন সূত্রে নাঈমের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায় নাঈম কে বিদেশে পাঠিয়ে, শান্তা কে ডিভোর্স করে দিবে। এবং বিদেশে যাওয়ার যাবতীয় টাকা পয়সা শান্তার বাবার কাছ থেকে নিবেন। অতঃপর গত মঙ্গলবার রাতে নাঈম তার শশুর বাড়িতে শান্ত কে মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি দেই।শান্তা তার বাবা কে সব কিছু খুলে বলে ৫লক্ষ টাকা না দিলে নাঈম তাকে তালাক দিবে।

ভুয়া কাবিন নামা রেজিস্ট্রার না হওয়ায় স্হানীয় ইউপি সদস্যের অনুমতি নিয়ে ১০০শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্টাম্পের ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কাবিনে বিবাহ করেছে বলে প্রমাণাদি স্বরুপ স্হানীয় কয়েক জনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর করেন নাঈম সহ স্বাক্ষীগণ। অতঃপর নাঈম নিজ বাড়িতে চলে আসেন, তার পরিবারের সাথে আলোচনা করে মণিরামপুর থানায় এসে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ থাকে যে তাকে যোর পূর্বক স্টাম্পে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। নাঈমের বাবা প্রবাস থেকে ফোন করে শান্তা ও তার পিতা কে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। শান্তা ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীন ভাবে জীবন যাপন করছে বলে জানায় শান্তার বাবা মিন্টু যাহার কল রেকর্ড অনুযায়ী সত্যতা পাওয়া যাই।

ভুক্তভোগী শান্তার পরিবার গরীব হওয়ায় শান্তা কে মিথ্যা প্রলবন দেখিয়ে ঘরে তুলে নেওয়ার কথা বলে, নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছেন নাঈম। ছেলের সকল অপকর্মে কথা জেনেও শান্তার বাবা কে হুমকি প্রদান করছেন প্রতারক নাঈমের বাবা মশিয়ার রহমান।

ভুক্তভোগী শান্তার পিতা জানায় ওরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসন কে ম্যানেজ করে আমাদের উপরে মামলা করে হেনেস্তা করবে বলে জানিয়েছেন, গালি গালাজ করে বলেছেন কে আছে তোর দেখে নিবো। যেখানে বাংলাদেশ আইনে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যৌতুক দাবি করলে সর্বোচ্চ আইনে সাজা প্রদান করার কথাও উল্লেক্ষ।সেখানে প্রতারক নাঈম ও তার বাবা মা মিলে শান্তার পরিবার কে নিয়মিত হয়রানী করে চলেছে। শান্তার বাবা মিন্টু হোসেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা চেয়েছেন।

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com