মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। হলুদ ফুলে ভরে আছে জমি। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ সকল প্রকৃতি প্রেমিককে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।
ঘিওর উপজেলা সরিষা ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। কখনো কখনো সরিষার ক্ষেতে বসছে পোকাখাদক বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। অনেকটা প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও এ বছর প্রায় ২শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সরিষার ফুলে ফুলে ও মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে ঘিওর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি সরিষা ক্ষেত। ফসলি মাঠের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে এসব সরিষার ক্ষেত। মাঠের চারিদিক যেন হলুদ হলুদে পরিপূর্ণ। এক দেখাতেই মন কাড়বে দর্শনার্থীদের। সরিষা ফুলের শোভা আরো বাড়িয়ে তুলেছে অসংখ্য মৌমাছির দল গুণগুনিয়ে মধু আহরণে ব্যাস্ত।
কৃষক সাইফুল ইসলাম, লিটন ও আলম জানান, সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা যায়। সরিষার ফুলে ফুলে হলুদ বর্ণের বর্ণিল জমিগুলোতে আশে পাশে দূর দূরান্ত থেকে স্কুল কলেজের সৌখিন প্রকৃতি প্রেমিকরা বেড়াতে আসছেন। আবার সরিষার ফুলের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য অনেক তরুণ-তরুণীরা ক্যামেরা ও ভিডিওর মাধ্যমে নিজের ছবির সাথে সরিষার ফুলের ছবি ধরে রাখছেন। এ বছর অনেকেই আগাম সরিষা অবাদ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানান, গতবছরের চেয়ে এ বছর সরিষা আবাদে আগ্রহী বেশি সংখ্যক কৃষকরা। উপজেলার উচু জমির পাশা পাশি পলিঅঞ্চলে বন্যার পর মাটির উবর্রতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ব্যাপক সরিষার উৎপাদন সম্ভব। সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলেও কোনো রকম রোগ বালাই না ধরলে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশা করছেন। তবে সরকারের সরিষা প্রনোদনা থাকায় সরিষা আবাদে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই।