কবিতার ডাইরি
কবিতার পরিত্যক্ত ডাইরি এখন
খানা খন্দরে আটকে পড়া
মাকড়সার বিস্তৃত জালে আবদ্ধ
প্রতিদিন ইঁদুর আর তেলাপোকার ভজন বিলাসের
ফাঁক গলিয়ে খেলা করে
আকাশের কার্নিশে ঝুলে থাকা জোছনার হাসি
রাতের মিশকালো অন্ধকারে
গোল্লাছুট খেলে আমার বয়স্ক অনুরাগ
মুখ পোড়া কিছু মিথ্যেবাদীর চক্রান্তে
নাস্তানাবুদ আমার কবিতার শরীর
এইতো সেদিন
যৌবনের পারম্ভে
উত্তাল নদীর উল্টো স্রোতে ভাসিয়েছিলাম
কবিতার নাও
জীবনের সব দুংখবোধ যখন একত্রিত হয়ে
আমার মাথার মগজে পারমাণবিক বোমার
গতিতে করেছিলো আঘাত
ঠিক তখন তর তর করে বয়ে চলা
খরস্রোতা নদীর উজানি ঢেউ
আর ভাটির ডাকাত শুনিয়েছে রুপকথার গল্প
হাসি আর কান্নার বেদিতে
তিলে তিলে ফুটিয়েছিলাম জীবনবোধের ফুল
তা শুকিয়ে ঝরে গেছে কবে
মরা পাতার পালকে এখন
আমার যৎসামান্য বসবাস
কবিতার যৌবিক যন্ত্রণায়
মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে শুয়ে থাকি একা
হাতের নাগালের বাইরে কে যেন
বুনে যায় কাব্যবাগানের নতুন ফুটন্ত কলি
ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে ফ্যাকাশে মলিন
মধ্য বয়সেও হাতের নাগালেই ছিলো
চাঁদ সুরুজের আলোকিত রাত
চোখের পাপড়ির ফাঁকে খেলা করে
হিরন্ময় দিন
নিজের ভুলেই ক্লান্তির সূর্যস্নানে ডুবে গেছে
বেহিসেবি আবেগের সফেদ ফেনা
চোখের সামনে অমানবিক নরক যন্ত্রণায় ক্ষয়ে যায়
কবিতার রুপ লাবণ্য ঘেরা মসৃণ শরীর।