অমিতাভ মল্লিক, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের মামুদকাটি গ্রামের সোহরাবমোড়ে রাজুর ছোলা মুড়ির দোকানে গত দুই দিন পূর্বে রাজু তার নিজ দোকানে সে নিজেই এতিমখানার এক ছাত্রীকে ধর্ষণ সংক্রান্ত ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রাজধানী টেলিভিশনের মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি শাহাজান শাকিলসহ তার সহকর্মী জাতীয় দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোমবার বেলা অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় সোহরাব মোড় সংলগ্ন রাজুর ছোলা মুড়ির দোকান তথ্য সংগ্রহের জন্য যাই।
তথ্য ছিলো বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়েছে। তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে রাজু আহম্মেদ তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা কথিত যুবলীগ নেতা আব্দুল আলিম দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজে বাধা প্রদান করে এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য টাকা পয়সা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে। টাকা পয়সা নিতে না চাইলে আব্দুল আলিম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে এবং মারপিট করিতে উদ্যত হয়। উক্ত ঘটনা পত্রিকায় ছাপাইলে এবং টেলিভিশনে প্রকাশ করিলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। যাহার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে মণিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগে বিবাদীরা হলেন মণিরামপুর উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের রহমত আলীর ছেলে আব্দুল আলিম, মামুদকাটি গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে রাজু আহম্মেদ।জানা যায়, কথিত যুবলীগ নেতা আব্দুল আলীম স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলীর ক্যাডার।
মণিরামপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর ক্যাডারের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্চিত ঘটনায় উপজেলা প্রেসক্লাব মণিরামপুর ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মণিরামপুর উপজেলা শাখা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। মণিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন,ঘটনাটি তদন্ত চলছে দ্রুতই ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।