dailynobobarta logo
আজ মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

লক্ষ্মীপুর-২ : ঈগলের এজেন্ট হলে ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

প্রতিবেদক
কিশোর কুমার দত্ত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮:২৬ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুর-২ : ঈগলের এজেন্ট হলে ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

কিশোর কুমার দত্ত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম (ঈগল প্রতীক) বলেছেন, নৌকার প্রার্থী একটি ভিডিওতে বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে সহযোগীতা করবেন। কিন্ত নৌকার কর্মীরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমার এজেন্ট হলেই ৭ জানুয়ারির পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমার এজেন্ট হলে ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি কর্মীদেরকে বলেছি, কারো ঘর জ্বালিয়ে দিলে, আমি ঘর করে দেবো।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সেলিনা ইসলাম লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব বিষয় জানান। এর আগে তিনি দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে রায়পুর পৌরসভা লেংড়া বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। সেখানে দূর্বৃত্তরা তার লোকজনের ওপর হামলা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এসময় এক কর্মীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে তার নাম-পরিচয় জানাননি।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মেঘনা নদীর টুনুর চরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন। পাপুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি যখন এমপি ছিলেন তখন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভাই আদনান চৌধুরীকে ব্যক্তিগত সহকারী রাখা হয়েছিল। আদনান তখন পাপুলের সই নকল করতো। ধরা পড়লে আদনানকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কোন দিক থেকে ষড়যন্ত্রগুলো হয়েছে তা সবাই জানে। আমরা বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা দেশে এনেছি। সেই টাকার কর দিয়েই আমি সিআইপি হয়েছি। নির্বাচনকালীন সেসব বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সেলিনা বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদি এ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর হবে। প্রতিবন্ধকতা আমার কাছে কখনো মনে হয়। এটা আমি অনুভব করি না। আমার অনুভূতিতেও আসে না। মনোনয়নপত্র মামলার ঘরে টিক চিহ্ন না দেওয়ায় আমার প্রার্থীতা বাতিল হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের আপিল করে তা ফিরে পায়নি। পরে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পাই। এসব করতে গিয়ে আমার ২৫ দিন সময় নষ্ট হয়েছে। এতে নির্বাচনী এলাকায় আসতে আমার সময় লেগেছে। কিন্তু আমার লোকজন এরআগ থেকেই কাজকর্ম শুরু করেছে। এরমধ্যেই নৌকার কর্মীরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।

প্রচারণার মাইক-গাড়ি ভাঙচুর করেছে। লোকজনকে ধরে এনে নৌকার প্রার্থীর কার্যালয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়েছে। মাইক্রো দিয়ে গিয়ে ১০-১৫ জন লোক আমার কর্মীদের হুমকি দিয়ে আসছে। দলের প্লাটফর্মে থেকে নির্বাচন আর স্বতন্ত্রে নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। আপনি যদি শক্তিকে অপব্যাবহার করেন, এটিকে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করছি, অন্য কিছু না।

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com