dailynobobarta logo
আজ বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

সড়কের উন্নয়নে কাটা হচ্ছে ‘শতবর্ষী’ বটগাছ, এলাকাবাসীর হতাশা

প্রতিবেদক
আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯:১৬ অপরাহ্ণ
ঘিওরে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী বটগাছ

আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা পরিষদের পাশেই চার রাস্তার মোড়ের বটগাছটি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে বহু বছর ধরে। সড়কের উন্নয়নে অবশেষে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী এই গাছ। ইতিমধ্যে গাছটির চারপাশের বেশির ভাগ ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। শুধু বটগাছটি নয়, কাটা পড়ছে সড়কের পাশের আরও ১ হাজার ৮টি গাছ।

ঘিওরবাসীর আশা ও দাবি ছিল, আশপাশের বড় একটি জায়গাকে শ্যামল ছায়ায় ঢেকে রাখা শতবর্ষী এই গাছকে অন্তত অক্ষত রাখা। কালের সাক্ষী এই বৃক্ষ কাটায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, মানিকগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৫৯.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৩ ফুট প্রশস্ত মহাসড়কের উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে, যার মধ্যে টাঙ্গাইল অংশের দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার এবং মানিকগঞ্জ অংশের দৈর্ঘ্য ১৮.৫০ কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এ কারণে বাধ্য হয়েই গাছটি কাটা হচ্ছে। এটি ছাড়াও কাটা পড়বে সড়কের পাশের আম, জাম, কাঁঠাল, মেহগনি, বট-পাকুড়সহ বিভিন্ন গাছ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকিগুলো কাটা চলছে সড়কের উন্নয়নে বট গাছটিসহ মোট ১ হাজার ৯টি গাছ কাটা হচ্ছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির বটগাছটি ১০-১৫ জন শ্রমিক মিলে কাটছেন। কাণ্ড এখনো কাটা না পড়লেও গাছের চারদিকের বেশির ভাগ ডালপালা কাটা হয়ে গেছে। গত তিন দিন ধরে চলছে গাছ কাটার কাজ। সাধারণ মানুষের গাছটির দিকে তাকিয়ে অসহায়ের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। কাউকে কাউকে গাছটি কাটার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে দেখা যায়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘিওর উপজেলা পরিষদের পাশেই বটতলা মোড়। এমন নামকরণ হয় এই বটগাছকে কেন্দ্র করে। গাছটির বয়স বহু আগেই ১০০ পেরিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। গাছটি মানুষকে রোদ-ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি নানাভাবে উপকার করে আসছিল। এর শীতল ছায়ায় আশ্রয় নিত কর্মক্লান্ত মানুষ। গাছের নিচে কয়েক জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

এই গাছ কাটার বিষয়ে জেলা জাসদের সদস্য আবুল হাসেম বলেন, ‘আমার বয়স এখন পঞ্চাশের ওপরে। আমি ছোটবেলা থেকেই গাছটি দেখে আসছি। আগেকার মানুষ কৃষিকাজ শেষে এই গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিতেন। কিন্তু সেই সব দৃশ্য হারিয়ে যেতে বসল।’

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com