শেরপুরে পাঁচ শতাংশ জমি ক্রয়য়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতায় বাদীর বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলার ঘটনায় লুটপাট, ভাংচুর সহ চাঁর জন আহত হয়েছে। আহতদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হাফেজ হাসান কবির সিদ্দিক এর অবস্থা গুরুতর হওয়াই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৪ আগষ্ট শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় জখমী আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।যার মামলা নং ৪৫৯/২০২৩।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুকসুদপুর গ্রামের অসহায় আলতাফ হোসেন পরিবারবর্গ নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ষোল বছর ঢাকাস্থ গার্মেন্টসে চাকুরী করে অভিযুক্ত শাহা আলী ও সুজন গংদের বাড়ির পাশে পাঁচ শতাংশ জমি ক্রয় করে ছিলেন।উক্ত জমি ক্রয়ের পর থেকে তাদের উপর চলছে লাগাতার জুলুম, নির্যাতন সহ নানান প্রকার অত্যাচার।
গত ৩০ মে ২০২৩খ্রিঃ শাহা আলী ও সুজন গংরা ভূক্তভোগী আলতাফ হোসেনে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় ভূক্তভোগীর স্ত্রী শিল্পী বেগম আহত হয়। উক্ত ঘটনায় ভূক্তভোগী স্ত্রী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সি,আর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সি,আর মামলা নং ৫৯৪/২৩।
উক্ত ঘটনার জের ধরে শাহা আলী ও সুজন গংরা গত ৩ আগষ্ট মোছা: ছাহেরা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। যিনি এখনো শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরবর্তী ৫ আগষ্ট সকালে আবারো ভূক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিন জনকে আহত ও লুটপাট করে গংরা।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী জখমী আলতাফ হোসেন বলেন, এখন হাসপাতালেও আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপদ নয় তারা প্রতি নিয়ত হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে যখন তখন তারা আমাদের খুন করিয়া ফেলবে। তারা বারবার হাসপাতালে মহড়া দিচ্ছে। বর্তমানে পরিবারটি আতঙ্কে দিনপার করছে।
ভূক্তভোগী আরো বলেন উক্ত ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার সতের বছরের একমাত্র ছেলে হাফেজ হাসান কবির সিদ্দিককে এর আগে আট দিন হাজত খাটিয়েছে তারা। মধ্যযুগীয় কায়দায় তাদের উপর দফায় দফায় নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় হয়রানি সহ প্রতিহিংসার রোষানল ও জুলুম থেকে বাঁচতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন অসহায় আলতাব হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।