dailynobobarta logo
আজ শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

ক্লিন ইমেজের কর্মীরাই অগ্রাধিকার পাবে হল এবং অনুষদ কমিটি তে

প্রতিবেদক
মুস্তাকিম সাদিক, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ১:০০ অপরাহ্ন

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ প্রথম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, অনুষদ এবং ইন্সটিটিউটসমূহে কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ জানুয়ারী (সোমবার)  নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের সাহসী অভিযাত্রার অগ্রসেনানী এবং বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের দুর্নিবার স্বপ্ন সারথি; বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্তর্গত ২ হল, ৬ অনুষদ এবং ২ ইন্সটিটিউটসমূহে ছাত্রলীগ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি গঠণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের দুই (০২) কপি জীবন বৃত্তান্ত আগামী সাত (০৭) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দলীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই কর্মীদের মাঝে উচ্ছাস দেখা যায়। কেমন নেতৃত্ব আসতে পারে এই কমিটিগুলোতে তা নিয়ে সকলের মাঝে তৈরী হয়েছে অন্যরকম এক উত্তেজনা।  সকলে বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।  তারা মনে করেন এই কমিটিগুলো গঠনের মাধ্যমে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ আরো সুসংগঠিত হবে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদী।

২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবরে সফিকুল ইসলাম রবিনকে সভাপতি এবং এস এম ধ্রুবকে সাধারণ সম্পাদক করে নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের প্রথম কমিটি গঠন করা হয়। প্রথম ও নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর নেতৃবৃন্দ কর্মীদেরকে নিয়ে হল, অনুষদ এবং ইন্সটিটিউট কমিটি গঠন করার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি। এ নিয়ে কর্মীদের মাঝেও দেখা যায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী টি. এম ফজলে রাব্বি বলেন, ” নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের অন্তর্গত হল, অনুষদ ও  ইন্সটিটিউটের কমিটি দেয়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই সম্পূর্ণ নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ পরিবারের মধ্যেই অন্য রকম উচ্ছাস কাজ করতেছে। কারন নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ ইতিহাসে এই প্রথমবার ইউনিট গুলোর কমিটি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবার মাঝে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারা এই সকল ইউনিটের দায়িত্বে আসে? তারা হল, অনুষদ অথবা ইনিস্টিউট গুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন?  তা দেখার আগ্রহ সকলের।
আমি মনে করি, এই ইউনিট গুলোর কমিটি দেয়ার মাধ্যমে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ আরও বেশি সুসংগঠিত হয়ে উুঠবে এবং সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল ছাত্রলীগ ইউনিট হিসেবে পরিচিতি পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আরও বেশি ভূমিকা পালন করতে পারবে। নাঈম-শুভ পরিষদকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন ডায়নামিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।

গর্ববোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী মিফতাহুল জান্নাত মাইশা বলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাসে আমরাই প্রথম নজির ইউনিট যারা মূল কমিটি প্রকাশের পর এত দ্রুত তম সময়ে হল এবং বিভিন্ন অনুষদের মতো এতো ইউনিটগুলোর কমিটি দিতে যাচ্ছে। অন্যদিকে এটাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইউনিটের প্রতিষ্ঠা কালীন কমিটি হবে এবং সারা বাংলাদেশের জন্য একটি রোল মডেল হিসেবে আমরা উপস্থাপিত হবো বিধায় অবশ্যই সবার মধ্যে একটু অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছে।
এই ইউনিট গুলোর নেতৃত্ব এবং এদের কার্যকারিতা নিয়ে এখন প্রতিটি ছাত্রলীগের কর্মীর চায়ের কাপে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা চাই অবশ্যই যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসুক যারা ছাত্রলীগ কর্মীদের এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোন যৌক্তিক দাবি আদায়ে সক্রিয় থাকবে এবং ছাত্র রাজনীতির বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরবে সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে, যাতে করে অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাদের দেখে রাজনীতি করতে আগ্রহী হতে পারে। সর্বোপরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মী যেন একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করাটাই আমাদের প্রত্যাশা।

হল এবং অনুষদ ভিত্তিক কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের পরিকল্পনা কি? জানতে চাইলে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, সাংগঠনিক চর্চাকে আরও বেশি গতিশীল এবং শক্তিশালী করা পাশাপাশি আগামীতে কমিটির জন্য যেন যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হয়ে আসে সেজন্য হলো আমরা হল ও অনুষদগুলোতে কমিটি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমরা কমিটিগুলো চেয়েছিলাম নির্বাচনের আগে দেওয়ার জন্য। কিন্তু নির্বাচনের সময় বেশি ব্যস্ত ছিলাম বলে আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। তো আমরা চাচ্ছি নতুন বছরের শুরু এবং ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই কমিটি গঠন করতে। সে লক্ষ্যেই আমরা আগাচ্ছি।

এই ধরণের কমিঠিগুলোতে আপনারা কোন ধরণের কর্মীদের অগ্রাধিকার দিবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সক্রিয়, মাদক – ইভটিজিং এর সাথে যুক্ত না, যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বা যে বিভাগে অধ্যয়ন করছে সেখানকার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কোন অবজেকশন নেই ঐ ধরণের কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবে। অর্থাৎ সাংগঠনিক এর পাশাপাশি তাকে পরিষ্কার ইমেজের হতে হবে।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ বলেন, আসলে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ক্যাম্পাসে সাংগঠনি পরিচয় না থাকার ফলে সাংগঠনিক একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। সংগত কারণে আমাদের আগের উনারা কমিঠি দিতে পারে নাই, কিন্তু আমরা চাচ্ছি সবাইকে সাংগঠনিক পরিচয়ের অধীনে নিয়ে আসার জন্য। সেজন্য আমরা প্রত্যেকের কাছ থেকে সিভি আহ্বান করেছি, যারা এখানে দীর্ঘদিন রাজনীতি করতেছে তাদের

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com