ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি ‘৮৯ ব্যাচের ১৩ জন বন্ধুর একযোগে জন্মদিন পালন করা হয়। শনিবার সন্ধায় পৌর শহরের ‘লারোজা ফুড’ রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও এসএসসি ‘৮৯ ব্যাচ।
ব্যাচে সূত্রে জানা যায়, তারা ঠাকুরগাঁও জেলার এসএসসি ১৯৮৯ সালের ব্যাচ। বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিত বন্ধুদের জন্মদিন পালন করা হয়। অনেকে পেশাগতসহ বিভিন্ন কারনে নিয়মিত হতে পারেন না। তাই প্রতিমাসে একবার ‘জন্মদিন উৎসব’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এতে এসএসসি‘র প্রায় তিনযুগ পরও ৬০/৭০ জন বন্ধু একত্রিত হয়। এবার ঢাকা-রংপুর-নীলফামারী- দিনাজপুর পঞ্চগড়ে থাকাসহ ৭৫ জন বন্ধু যোগ দিয়েছে।
এবার কবি ড. গোলাম সারোয়ার সম্রাট, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মাসুদ রানা, ব্যবসায়ী মজিদুল ইসলাম, চাকুরিজীবী মামুন ইসলাম, আবু সাইদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহবুব রাজ, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক মানিক হোসেন সরকার, প্রীতি মসফুল, উজ্জল সরকার, শিক্ষক জীবন ঘোষ, টিআই ফিরোজ কবির উজ্ঝল এর জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা টিআই সাগর আনাম জানান তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। বন্ধুদের নিয়মিত মাসিক আয়োজনগুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলো করেন। এবার তিনি চলে এসেছেন। অতীতের অনেক স্মৃতি রোমন্থ করতে পেরে দারুন মুহূর্ত কাটালেন। দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধুদের একসাথে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে তাঁর।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেবা খাতুন জানান এর আগে তাঁর জন্মদিন কখনো ঘটা করে পালন করা হয়নি। এবারই প্রথম বন্ধুরা আয়োজন করেছে। তিনি বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
নীলফামারী থেকে আসা ট্রাফিক ইনসপেক্টর ফিরোজ কবীর উজ্জল জানান বাবার চাকুরী সূত্রে তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। শৈশবের বন্ধুদের সাথে দেখা করা অনেক সৌভাগ্যের। তাছাড়া তাঁর কথা মনে রেখে জন্মদিন পালন করছে বন্ধুরা। তিনি খুবই আনন্দিত। বন্ধুদের নিখুঁত ভাালোবাসা দীর্ঘদিন তাঁর মনে থাকবে।
পঞ্চগড় থেকে আসা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডিডি সানাউল্লাহ নূরি হিমেল জানান, তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁও না হলেও ভার্চ্যুয়ালি ব্যাচের বন্ধুদের অনুষ্ঠানগুলি ফলো করেন। খুব ভালোলাগে তাই লোভ সামলাতে না পেরে চলে এসেছেন। অনেক মজা করেছেন। এখানকার বন্ধুদের আন্তরিকতার সুনাম সারাদেশে রয়েছে বলে জানান। এসময় বন্ধুদেরকে জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা ও একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
পরে নেচে-গেয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জন্মদিন উৎসব শেষ হয়। শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের বন্ধুদের অবকাশের জন্য একটি ‘অবকাশ যাপন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।