গত ১৫ ফেব্রুয়ারী “দৈনিক আমার সংবাদ” সহ বেশকটি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত “সাপাহারে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে ৬ জন আহত” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিবাদকারী
মো: জাহিদুজ্জামান রাব্বু।
প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেন জানান- তফশিল- থানা-সাপাহার, মৌজা-মধুইল, আরএস খতিয়ান -৮৫, দাগ-২৪১, মোট-১৯ শতাংশ তন্মেধ্য ৬ শতাংশ সম্পত্তি ৬০ বছরের উর্দ্ধকাল যাবৎ শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখলে আছি। বিবাদীগণ উক্ত সম্পত্তির মালিকানা দাবী করিয়া বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক দখল করিবে, ইটের দেওয়াল দিয়া ঘিরিয়া নিবে, আমাদের মারধর করিবে বলিয়া হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করিয়া আসিতেছিল। এরই একপর্যায়ে গত ১৩-০২-২০২৪ তারিখ রোজ মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ তাহাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি, লোহার রড, ধারালো হাসুয়া ইত্যাদি সহ মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ইট, বালু, সিমেন্ট লইয়া উক্ত সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া জোরপূর্বক ইটের দেয়াল নির্মান শুরু করে।
আমি বাধা নিষেধ করিলে বিবাদী আ: জলিল বলে যে, তোর এই জমি দখলে রাখলে আমাদের নগদ ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে জলিল হুকুম দেয় যে, সালাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করিয়া দে। হুকুম পাওয়া মাত্র বিবাদীগণ আমাকে ঘিরিয়া ধরে। জলিল ও নূরু আমার দুই হাত ধরিয়া থাকিলে রিয়াজুল ইসলাম তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আমার মাথায় লাগিয়া গুরুত্বর জখমপ্রাপ্ত হয়। মমিনুল হক তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিলে আমি দুই হাত দিয়া ঠেকানোর সময় আমার ডান ও বাম হাতের তালুতে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হই। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে সকল বিবাদীগণ বাশের লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দিয়া আমার বাম হাতের বাহুতে, কোমড়ে ও পিঠে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া ফুলা ও সাধারণ জখম করে।
আমার গ্রাম্য ভাই ১নং সাক্ষী আঃ রহিম (৪০) ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে বিবাদী নুরু (৫০) তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে কোপ মারে। সাক্ষী আঃ রহিম উক্ত আঘাত হাত দিয়া ঠেকানোর সময় ডান হাতে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। উক্ত সম্পত্তির অপর অংশিদার সাক্ষী মিজানুর রহমান জখমীদের বাঁচানোর চেষ্টা করিলে বিবাদী মাসুদ (৩৫) তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া সাক্ষী মিজানুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে হাত দিয়া ঠেকাইলে উক্ত মাথায় ফুলা জখমপ্রাপ্ত হয়। বিবাদী হাই বাবুর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া সাক্ষী মিজানুর রহমানরর মোটরসাইকেলের হেলমেট ভাংচুর করিয়া ৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধণ করে। এসময় সকল বিবাদীগণ আজ হোক কাল হোক তোদের শেষ করিয়া দিব বলিয়া হুমকী ধামকী সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। স্থানীয় বহু লোকজন ঘটনার বিষয়ে দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে। আমি সহ অন্যান্য জখমীগণ সাপাহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম।
এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গ্রামের সহজ সরল নিরপরাধ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষঢ়যন্ত্র মুলক মামলা মোকর্দমা দিয়ে হয়রানী করা সহ সমাজে আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিবাদীগণ। একই সাথে সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই বানোয়াট ঘটনার সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করিয়েছে।