অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার সমাপ্তি ঘটিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আসন্ন এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য টাইগারদের নেতৃত্বে থাকবেন সাকিব।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তামিম ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর গত কয়েক দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে মূল আলোচনা ছিল বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের অধিনায়কত্বে কে আসবে সে বিষয়টি। আলোচনায় ছিলেন সাকিব, লিটন এবং মেহদী হাসান মিরাজ। তবে শেষমেশ সাকিবের অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দিয়ে তাকেই অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সাকিবকে অধিনায়ক করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সাকিবকে অধিনায়ক করা প্রসঙ্গে আজ বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকেরা।’
প্রথম দফায় বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি।
এরপর দুই বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও টাইগারদের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ টি জয় রয়েছে।