dailynobobarta logo
আজ বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন দল ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’

প্রতিবেদক
সুব্রত দেবনাথ
বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪ | ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ এখন সচিবালয়ে দুজনই দায়িত্ব পেয়েছেন। একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আলোচনায় আসা এই তরুণদেরও ছিল রাজনৈতিক পরিচয়। তারা ছিলেন দলীয় লেজুরবৃত্তিহীন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির শীর্ষ নেতা। মাত্র ১০ মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা এই ছাত্র সংগঠনের উদ্যোক্তা ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। যার হাত ধরেই এই আন্দোলনে এসেছেন নাহিদ-আসিফরা।

গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি প্রতিষ্ঠার আগে আখতার, নাহিদ, আসিফরা ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদে। পরে সেই সংগঠন থেকে বেরিয়ে নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন তারা। সেই সময় এই দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিধারণ করা হয়েছিল- শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ ও রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন।

শেখ হাসিনার সরকার হটিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে স্থান পাওয়া নাহিদ ইসলাম ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং যুব ও ক্রিড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি। তাদেরকে কম বয়সী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলা সমালোচনাকে অযৌক্তিক দাবি করে তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সহযাত্রী আখতার বলছেন, দুই উপদেষ্টাকে নিয়ে বেশ আশাবাদী তিনি।

গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বাংলাভিশনকে বলেন, ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর আমরা চিন্তা বিনির্মান ও রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গঠন করি। তখন আমরা বলেছিলাম, যারা স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘবদ্ধ থেকে সব ধরনের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জারি রাখতে পারে। এটি যেমন আমাদের জরুরি কাজ ছিল, দূরবর্তী পরিকল্পনা ছিল রাষ্ট্র গঠন। আমরা তখন থেকেই নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম এবং প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। সবশেষ আন্দোলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যারা আছেন তারা সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতো বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করেন। এই আন্দোলনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিজয় অর্জন করে। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এত দ্রুত যে বিজয় চলে আসবে। তবে সময়ের চাহিদা ছিল, মানুষ জানতো যে ১৬টা বছর ধরে এখানে ফ্যাসিবাদ চেপে আছে, তবে তার খুঁটির জোর নেই। তার ফাপরবাজি ভেঙে দিতে মানুষ প্রস্তুত ছিল। সেটা যে কোনো সময় হতে পারে এটা আমরা জানতাম। তবে এখনি যে ঘটবে এটা ভাবিনি।

সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে স্থান পাওয়া তার সংগঠনের দুই তরুণ নেতার বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, নাহিদ, আসিফসহ আমরা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে একসাথে কাজ করে আসছি। আমি তাদের মধ্যে জনগণের অধিকারের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান দেখেছি। এখন যারা তাদের বাচ্চা বলছেন তাদের বলতে চাই, এই বাচ্চারাইতো সেটা করে দেখিয়েছে যেটা বড়রা এতদিন পারেনি। তাই আমি বলবো আমি তাদের নিয়ে আশাবাদী। আর যারা বলছেন তারা বাচ্চা, তাদের বলবো এদের পাশে থাকুন। পরামর্শ দিন। আশা করি এরা দেশকে ভালো কিছু দিবো।

গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি মূল ধারার রাজনীতিতে আসবে কি না এমন প্রশ্নে মৌন সমর্থন ছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এই থিংক ট্যাংকের মুখে। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নিয়ে যেভাবে এগুতে চেয়েছিলাম সেটি এখন ওই অবস্থানে নেই। এখন তার চেয়ে অনেক বড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবার আশা-আকাঙ্খার জায়গা তৈরি হয়েছে। এখন আমরা শুধু যারা গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তিতে ছিলাম তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা কাজ করেছেন তাদেরও এখানে যেমন বক্তব্য আছে, সারা দেশের মানুষ ও শিক্ষার্থীদেরও বক্তব্য আছে। সবগুলো বক্তব্যকে এক করেই আমরা একটা সিদ্ধান্তে যাবো।

আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখানে নতুন মুখ দেখতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ চায় এখানে তাদের পক্ষের শক্তি এখানে রাষ্ট্র পরিচালনা করুক। অতএব সেই বিষয়গুলোকে আমরা যারা আন্দোলন করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে, আমরা অবশ্যই এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকারের জায়গায় রাখবো।

তবে নিজেরা রাজনীতিতে এলেও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে সাধারণ ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একমত থাকবেন বলেও জানান আখতার হোসেন। তিনি বলেন, দেশ সংস্কারের স্বার্থে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান সাবেক এই ডাকসু নেতা।

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com