দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষক অভিযুক্ত হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়। আদেশটি সব জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ বা অপসারণের ঘটনা ঘটায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়টি তদারকি এবং প্রয়োজনে এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করে পত্র জারি করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এখনো শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা উপদেষ্টা আরও নির্দেশনা প্রদান করেছেন, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ আছে, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বেআইনি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী এবং শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থেই নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।