নারীদের নিয়ে বেশ আগ্রহ সহকারে কথা বলেন জায়েদ খান। সুযোগ পেলেই জাহির করতে চান, নারীরা তার প্রতি দুর্বল। এবার পড়েছেন বিপাকে। সম্প্রতি চলমান প্রশ্ন, নারীরা কীসে আটকায়? এর উত্তরে জায়েদ বলেছেন, নারী জায়েদ খানে আটকায়। তাতেই বেঁধেছে বিপত্তি।
নারী জায়েদ খানে আটকায় বক্তব্যটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে জায়েদকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন এক আইনজীবী। ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মুনিমা মান্নান আজ রোববার এ লিগ্যাল নোটিশ দেন।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ১২ আগস্ট একটি বাংলা ছবির সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ‘নারীরা জায়েদ খানে আটকায়, জায়েদ খান সুন্দরী নারীতে’ বক্তব্যটি দেন। যা বাংলাদেশের প্রায় সব গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদপত্র, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, টিভি এবং ইউটিউবের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমগ্র নারীদের সম্মান ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যেখানে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে নারীদের বিশাল ত্যাগ ও অবদানের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের সংবিধান নারী ও পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী, সেখানে নারীর প্রতি এমন অবজ্ঞা স্বরূপ বক্তব্য, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে, সেখানে আপনার মত একজন বাংলা চলচ্চিত্রের নায়কের এমন অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আমাদের নারীদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
সবশেষে নোটিশে বলা হয়েছে, আপনার ‘নারীরা জায়েদ খানে আটকায়’ বক্তব্যটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হইল এবং আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত না থাকলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
নারী কীসে আটকায়— এমন প্রশ্নের মুখে জায়েদ বলেছিলেন, ‘এখন নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, নারীরা জায়েদ খানে আটকায়। জায়েদ খান সুন্দরী নারীতে আটকায়’ওই বক্তব্য প্রত্যাহারেই লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে জায়েদকে।