মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হরিরামপুর জোনাল শাখার ভূতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রাহকেরা। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে দ্বিগুণ বেশি বিল এবং মিটার না দেখে বিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
সরজমিনে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ডেগিরচর গ্রামে গেলে দেখা যায়, মো. আমজাদ হোসেনের বাড়ির বিদ্যুত বিলের কাগজে জুলাই মাসে বিদ্যুৎ খরচ দেখানো হয়েছে ১৫০ ইউনিট। কিন্তু আগস্ট মাসের বিলের কাগজে দেখানো হয়েছে ৩০৫ ইউনিট। আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ কম খরচ করার পরেও এমন দ্বিগুন বিল বেশি আসায় হতভম্ব ভুক্তভোগী।
একই ইউনিয়নের ডেগিরচর কাজীবাড়ি জামে মসজিদের মিটারের রিডিংয়ের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের বিল কাগজের রিডিংয়ের কোনো মিল নেই। মসজিদে গেলে দেখা যায়, গত জুলাই মাসের বিলের কাগজে পূর্ববর্তী-বর্তমান ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ১৫৪০-১৫৭৫ এবং আগস্ট মাসের বিলের কাগজে পূর্ববর্তী-বর্তমান ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ১৫৭৫-১৬১৫ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মিটারে তার পুরোটাই উল্টো চিত্র। মিটারে দেখা যায় আজ পর্যন্ত ব্যাবহার করা হয়েছে মাত্র ১৫৩২ ইউনিট। গত দু-মাসের এমন ভুতুড়ে বিলের কাগজ দেখে অবাক মসজিদের সাধারণ মুসল্লীরা।
এসব ভুতুরে বিল নিয়ে মসজিদের পক্ষে ডেগিরচর গ্রামের মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিলের কাগজের সাথে মিটারের কোন মিল নেই। তারা ঘরে বসে বসে মনমতো মিটার লিখে ভুতুরে বিল তৈরী করে যার ভোগান্তিতে পরি আমরা।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হরিরামপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সামিউল কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভুতুরে বিল হওয়ার কোন সুযোগ নাই। ভুতুড়ে বিল হবেও না। আমি বিলগুলো দেখি। আপনি জানালেন আমি তথ্যগুলো নিয়ে নেই। প্রয়োজনে ওনার বাড়িতে আমি লোক পাঠাবো। ঐখানে কত রিডিং আছে, মিটারে অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা সবকিছু দেখে আমরা সমাধান করে দেব।
তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি মুঠোফোনে জানান, অভিযোগকারী অফিসে আসছিল। বিলে যে সমস্যা ছিল ঠিক করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারী আপনাদের কাছে যেমন বলছে তেমনি আমাদের কাছেও আসছিল। তাদের বিল দেখে আমরা সমাধান করে দিয়েছি। গ্রাহক কখনোই সাফার হবেনা। এমন যেন পরবর্তীতে না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।