dailynobobarta logo
আজ রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

মেসির হাত ধরে প্রথম শিরোপা মায়ামির

প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
মেসির হাত ধরে প্রথম শিরোপা মায়ামির

রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালের সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা যেমন রুদ্ধশ্বাস খেলা উপহার দিয়েছিল, তেমনই এক ফাইনাল যেন আবারও দেখা গেল। আর এবারও লাইমলাইটে লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টিনা নয়, নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির জার্সিতে।

বিশ্বজয়ের পর ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মেসি। ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিয়ে নিজের প্রথম মৌসুমেই মেজর লিগ সকারের ক্লাবটিকে প্রথমবারের মত তুলেছেন লিগস কাপের ফাইনালে। আর আজ নাশভিল ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের ম্যাচে তাঁর জাদুকরী গোলেই প্রথমে এগিয়ে যায় মিয়ামি। তবে দ্বিতীয়ার্ধ্বে প্রতিপক্ষ সমতায় ফেরার নির্ধারিত নব্বই মিনিটে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। আর রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টি শ্যুট-আউটে নাশভিলকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মিয়ামি।

এমএলএস এর পরিসর বর্ধিত করার সময়ই এ লিগে যুক্ত হয় মিয়ামি এবং নাশভিল। এরপর আজই প্রথমবারের মত দুই দলই খেলতে নামে নিজেদের প্রথম ফাইনাল। আর শুরু থেকেই নিজেদের উদ্বোধনী শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে উভয় দলের ফুটবলাররা।

তবে নাশভিলের ঘরের মাঠ জিওসি পার্ক স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচে প্রথম সাফল্য পায় মিয়ামি। আর অবধারিত ভাবেই যেন সেই সাফল্যের নায়কও মেসিই। ম্যাচের ২৩ মিনিটের সময় ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এরপর নাশভিলের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আরও তিন ফুটবলারের মানবদেয়াল ভেদ করে দুর্দান্ত এক শট নেন তিনি। বলও খুঁজে পায় জালের দেখা। ফলে ম্যাচের শুরুতেই এক গোলে এগিয়ে যায় মিয়ামি।

এরপর দুই দলই গোলের দেখা পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। তবে রক্ষণের বাঁধা পেরিয়ে কেউই শেষ পর্যন্ত সফল হতে না পারায় ১-০ স্কোরলাইন নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।

এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ্বে মাঠে নেমেই এক গোলে পিছিয়ে থাকা নাশভিল শুরু করে আক্রমণ। তবে ৫০ মিনিটের সময় নিজেদের দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল মিয়ামি। কিন্তু জর্দি আলবার এগিয়ে দেয়া বলে জোসেফ মার্তিনেজের নেয়া শট ব্যর্থ হয় জালের দেখা পেতে।

এদিকে ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় ঠিকই সমতায় ফেরে নাশভিল। কর্ণার থেকে আসা বল গোলপোস্টের একেবারে কাছে থেকে মাথা ছুইয়ে দেন তিনি। এরপর যদিও বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন মিয়ামির ডিফেন্ডার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে ১-১ স্কোরলাইনে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয় শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে।

এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় মিয়ামিকে আরও একবার এগিয়ে দেয়ার দারুণ এক সুযোগ তোইরি করেছিলেন মেসি। বক্সের বাইরে থেকে ফের দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন তিনি। তবে বুলেট গতির সেই শট ফিরে আসে গোলপোস্টের বাঁধায়। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে দুই দলই প্রাণান্ত চেষ্টা চালায় গোলের দেখা পেতে। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে অবশ্য দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন মিয়ামির কোপানা। ডিফেন্সিভ হাফ থেকে লং পাসে বল পেয়ে গোলের লক্ষ্যে ছুটেছিলেন তিনি। সামনে নাশভিলের গোলরক্ষক ছাড়া ছিল না আর কোনো বাঁধা। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন তিনি।

ফলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। এদিকে টাইব্রেকারেও আজকের ম্যাচটি ছড়ায় নাটকীয় উত্তেজনা। প্রথম পাঁচটি শট নেয়ার পরও কোনো দলই জয় না পাওয়ার পর পরের চারটি শটে দুই দলের ফুটবলাররাই করেন লক্ষ্যভেদ। এরপর দুই দলের গোল রক্ষকদের শট নেয়ার পালা। তাতে মিয়ামির গোলরক্ষক প্রথম শট নিয়ে ঠিকই জালের দেখা পান। এরপর নাশভিলের গলরক্ষকের নেয়া শটও আটকে দেন তিনি। ফলে চরম উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন হয় মিয়ামি।

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com