বাবর-ইফতিখারের সেঞ্চুরিতে নেপালের সামনে পাকিস্তানের রান পাহাড়। এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে নেপালকে ৩৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪২ রান করে এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান।
অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে ২১৪ জুটি বাধেন ইফতিখার। বাবর আজম ১৫১ রানে আউট হলে ইফতিখার ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দারুণ ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ১০৯ বল খেলে ১০ চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ঊনিশতম সেঞ্চুরি এবং ইনিংস হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম। পাক অধিনায়ক ১০৪ ম্যাচ খেলে ১০২ ইনিংসে ১৯টি সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখান। শেষ পর্যন্ত ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১৫১ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
অপর দিকে ইফতিখার তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন নেপালের বিপক্ষে এই ম্যাচে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ রান ছিল ক্যারিয়ার সেরা। ৬৭ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতিখার।
বুধবার (৩০ আগস্ট) মুলতানে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-নেপাল। দুই জনের মুখোমুখি লড়াইয়ে এটিই প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। নিজেদের দেশে বড় আসর প্রত্যাবর্তনের দিনে অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের বিধ্বংসী শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপাকে পড়ে ম্যান ইন গ্রিনরা। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিক দল। সপ্তম ওভারের ভেতর দলীয় মাত্র ২৫ রানের ভেতর সাজঘরে ফিরেন ফখর জামান ও ইমাম উল হক। ব্যক্তিগত ১৪ রানে কারান কেসির শিকার হন ফখর। অপরদিকে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন আরেক ওপেনার ইমাম।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে পাকিস্তানের ভাগ্য যেন আজ রান আউটের ফাঁদেই ছিল। এই দুই তারকা যখন বিধ্বংসী হয়ে উঠছিল ঠিক তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে দলীয় ১১১ রানে ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থেকে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রিজওয়ান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিডেল অর্ডার ব্যাটার আগা সালমান। মাত্র ৫ রান করে লামিচানের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ ও বাবর আজম।
এই দুই ব্যাটারের বিধ্বংসী জুটিতে শেষদিকে নেপাল বোলাররা দাঁড়াতেই পারেনি। দুজনেই তুলে নেন শতক। ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান মিডেল অর্ডার ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। অপরদিকে বাবর আজম তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ১৫০ উর্ধ্বো রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২১৪ রানের পার্টনারশিপে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪২ রানের পাহাড় সমান পুঁজি পায় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ১৫১ রান করেন বাবর আজম। অপরদিকে ইফতিখার আহমেদ খেলেন অপরাজিত ৭১ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এটিই তার ক্যারিয়ারের প্রথম শতক ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। নেপালের হয়ে দুইটি উইকেট সম্পল কামি।