ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সদস্য সচিব এইচ এম আলী হাসানকে সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে দেয়নি কর্মকর্তা সমিতির নেতাকর্মীরা। সেই সাথে ভিসি বাংলোর সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে রেজিস্ট্রারের নিজ কার্যালয়েই ঘেরাও করে রাখেন নেতাকর্মীরা। এসময় প্রায় তিন ঘন্টা ঘেরাও করে রাখা হয় তাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমিতির ১৬ দফা দাবি না মেনে নেয়ায় রবিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটায় তারা।
জানা যায়, রবিবার সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬১তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করে কর্তৃপক্ষ। সভার সদস্য সচিব ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাররির বয়সসীমা বৃদ্ধি, ইনক্রিমেন্ট, পদোন্নতি ও পৌষ্য কোটায় সন্তান ভর্তিতে শর্ত শিথিলসহ নানান দাবি জানিয়ে আসছেন। এনিয়ে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন উপায়ে আন্দোলন করে তারা৷ একই উদ্দেশ্যে রবিবার ১৬ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস না পেয়ে কর্মকর্তা হিসেবে রেজিস্ট্রারকে সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে দেননি। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার উপাচার্যের বাসভবনে সভায় গেলে সেখানে গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসে কর্মকর্তারা।
পরে সেখান থেকে তার নিজ কার্যালয়ে ঘেরাও করে রাখেন। এসময় তারা তাকে অনলাইনেও সভায় অংশ নিতে দেয় নি। প্রায় তিন ঘন্টা পরে তাকে নিয়ে একসাথে বাসার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন কর্মকর্তারা।
এবিষয়ে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ঘটনায় আমি খুবই বিব্রত। তারা আমাকে সভায় অংশ নিতে দেয় নি। আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
এদিকে সদস্য সচিব ছাড়া সিন্ডিকেট সভার কার্যক্রম চালানো যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সদস্য সচিব না থাকলেও সভার কাজ করা হয়। তবে ডকুমেন্টারির সকল কাজই সদস্য সচিবের থাকে।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল হক বলেন, উপাচার্য যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নেয় নি, আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব৷ এছাড়া রেজিস্ট্রার আমাদের কর্মকর্তা নেতা হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অংশ নিতে দিতে পারি না। কাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাব৷
তবে এবিষয়ে জানতে উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সভা হয়েছে। এজেন্ডাভুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রেজিস্ট্রার না থাকায় ডকুমেন্ট দেখে আলোচনা প্রয়োজন এমন কিছু বিষয় পরবর্তী সিন্ডিকেটের জন্য রাখা হয়েছে।
এদিকে সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনার সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নিয়োগ নিয়েও নানান কথা তুলছেন সচেতন মহল