টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের চৈথট্ট বটতলী বাজারে একটি ভ্যান চার্জ দেয়ার গ্যারেজ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কবির উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের ধুপা খাগরাটা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক।
এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলের পৃথক পৃথক স্থান থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, আজ সকালে এক ভ্যান চালকের ঝুলন্ত মরদেহ করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।
অন্যদিকে গকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলার ভূঞাপুরে ঘরের বক্স খাটের ভিতর থেকে প্রবাসীর স্ত্রী’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মোস্তাক পলাতক রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া প্রবাসীর স্ত্রী মুনিয়া ইসলাম (৩২) গোপালপুর উপজেলার নলীন এলাকার নুরুল ইসলাম খানের মেয়ে এবং একই উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে ব্রুনাই প্রবাসী মোস্তাকের স্ত্রী।
একই দিন ভূঞাপুরে ঘর থেকে সুলতানা সুরাইয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুলতানা সুরাইয়া ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার নিউজ এডিটর আবু সায়েম আকন্দের মা এবং পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আকন্দের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে পৌরসভার পশ্চিশ ভূঞাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- একদিন আগে বৃদ্ধা হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে দৃষ্কৃতিকারীরা। এ উপজেলার দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত চলছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, পৌরসভায় বিরোধপূর্ণ জমি বুঝে পাওয়ার জন্য একটি আবেদন করেন নিহত খাইরুল। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে তিনি ও পৌরসভার সার্ভেয়ারসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা জমি পরিমাপ করতে যান। এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই মোতালেব নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে পৌরসভার লোকজনদের উপর হামলা ও মরিচের গুড়া ছিটিয়ে সালিশি বৈঠক পন্ড করা হয়।
এ সময় হামলাকারিরা খায়রুলকে ছুরিকাঘাত করলে তার পেট পুরোটা কেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ডলি খানম নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ঘাতকদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।