যশোরে মোবাইলে পুলিশ সুপার পিবিআই, যশোর পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে প্রতারকচক্র গ্রেফতার।
মোঃ শরিফুল ইসলাম সাবেক ইউপি সদস্য শার্শা বাদী হয়ে গত ২৮/০৯/২০২৩ পুলিশ সুপার, পিবিআই যশোর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন যে, সকাল ০৮.০০ টায় তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৭১১২৭১৯৬২ তে পুলিশ সুপার, পিবিআই, যশোর পরিচয় দিয়ে মোবাইল নং ০১৩১৪৫৪৭৪৬৬ হতে কল করে ২,০০০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে।
পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা উক্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য এসআই(নিঃ) ডিএম নুরজামাল হোসেন, পিবিআই, যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। অনুসন্ধানকালে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত প্রতারকচক্র মাদারীপুর সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছেন মর্মে জানতে পারেন।
পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে, এসআই(নিঃ) ডি এম নুর জামাল হোসেন, সঙ্গীয় এসআই(নিঃ) স্নেহাশিস দাশ, এসআই(নিঃ) গোলাম আলী সহ যশোর জেলার চৌকস দল গত ২৯/০৯/২০২৩ রাত অনুমান ০৩.০০ টায় সময় মাদারীপুর, সদর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী খাদিজা (৩৮), পিতা-এজাজুল হক, গ্রাম-মৈশের চর, থানা-মাদারীপুর সদর, জেলা-মাদারীপুর, আহসান হাবিব(৩৫), পিতা-রবিউল ইসলাম, গ্রাম-শ্রীরামপুর, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরাদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় নিজেদেরকে পুলিশ সুপার পিবিআই, যশোর পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবী করার কথা স্বীকার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় আসামিরা স্বামী-স্ত্রী তারা পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিত ভাবে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা পূর্বক চাঁদা দাবী করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
আসামী আহসান হাবিব সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার একাধিক ডাকাতি, মানব পাচার ও প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে শার্শা থানার মামলা নং-২৬, তাং-২৯/৯/২০২২ ধারা- ১৭০/৩৮৫/৪১৯ পেনাল কোড রুজু হয়।
মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আজিজুল হক এর উপর অর্পণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়’কে আজ ২৯/০৯/২০২৩ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত শার্শা আদালতে সোপর্দ করা হয়।