ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে আঘাত হেনেছে ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় । তিন মিনিটের ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে ২০ টি ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। রাতে পুরো এলাকা অন্ধকারে রয়েছে।রাত ১১ টা পর্যন্ত রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হয় ফরিদপুরে।
আওয়ামী লীগ নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন ও যুবলীগ নেতা ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচন্ড বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ২০টি বসতঘর তচনছ হয়ে যায়।
এসময় হাফেজ মোঃ সগির মুন্সির (মসজিদের ইমাম) বসতবাড়ীর দুটো বসতঘর ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র আধাপাকা ঘরটি বিশাল গাছ পড়ে মূহুর্তের মধ্যে ঘরটি গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায়। লিপি বেগম কোনো রকমে বাথরুমে আশ্রয় নিয়ে প্রানে বেঁচে যান।
এছাড়া লিটু মুন্সি, ফারুক মুন্সি, মুরাদ মুন্সি, দবির মুন্সি, কাইউম মুন্সি, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানো কাজী, আতি কাজীর বসতঘরসহ অসংখ্য রান্না ঘর এবং প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে এবং গাছ পড়ে সোনাতুন্দীর উত্তর পাড়ার একমাত্র ইটের সলিং এর রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়াও পুরো এলাকা বিদ্যুতবিহীন রয়েছে।
বল্লভদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার সািইফুর রহমান শাহীন জানান, ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল ডাল তেলসহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কে জানানো হয়েছে,তারা সর্বোচ্চ ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।বিদ্যুৎ উন্নয়নের কাজ চলমান।