খাগড়াছড়িতে দুই শিশু সন্তানসহ আমেনা বেগম নামে এক নারী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে শহরের শাপলা চত্ত্বর এলাকায় এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভূমিকায় শেষ পর্যন্ত দুই শিশুসহ ওই মায়ের আত্মহত্যা চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান, দীর্ঘ চার বছর সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রবাস জীবনে অনেক কষ্ট করে কিছু টাকা জমিয়ে দেশে ফিরে কিছু জমি কেনেন তিনি। তবে ভূমি অফিসে বায়নাপত্র করার সময় জমিন কেনার টাকা নিয়ে স্বামী অজুদ আলী পালিয়ে যায়। নিজের স্বামীর দ্বারা প্রতারিত হওয়ায় সে কিছুটা ভেঙ্গে পড়েন। কিছু দিন অপেক্ষা করার পরও স্বামী ফিরে না আসায় সে আইনের আশ্রয় নেয়। কিন্তু গত ৬ দিন ধরে পুলিশের কাছে ধর্ণা দিলেও কোন ধরনের সহায়তা পাননি বলে জানান আমেনা বেগম। একপর্যায়ে কোন উপায় না দেখে নিরুপায় হয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন মহিলা হঠাৎ করে তার সাথে থাকা দুই শিশুসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়। ম্যাচ দিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করলে সেখানে উপস্থিত লোকজন দ্রুত ম্যাচ হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ওই মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য তাদের গায়ে পানি ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে যান।
খাগড়াছড়ি সদর থানার উপ-পরিদর্শক মিনহাজুল আবেদীন জানান, খবর পায় ওই মহিলা ও তার দুই শিশুসহ আগুন দেয়ার চেষ্টা চালায়। আশপাশের থাকা লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই মহিলার ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে একটি বিষের বোতল ও লাইটার পায় পুলিশ। বর্তমানে মা ও দুই শিশু পুলিশ পাহারায় জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।