টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক সিএনজিতে হঠাৎ করে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে সিএনজিতে থাকা যাত্রী ও চালক মো. সাইফুল মিয়া অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। সিএনজি চালক সাইফুল মিয়ার বাড়ি গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর পৌর শহরের ডলি-কলি স্টোর নামে দোকানের সামনে সাইফুলের সিএনজিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মো. আনিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ডলি-কলি স্টোরের সামনে ওই সিএনজিতে একজন যাত্রী ওঠেন। তার কিছুক্ষণ পরই সিএনজি থেকে আগুন বের হতে থাকে। পরে যাত্রী ও চালক নেমে যায় এবং মুহুর্তেই পুরো সিএনজিতে আগুনে পুড়ে যায়। তারপর ঘটনাস্থলে লোকজন আগুন নেবাতে সহযোগিতা করেন।
এ ঘটনায় সিএনজি চালক সাইফুল মিয়া বলেন, দুপুরে এলেঙ্গা থেকে গ্যাস তুলে রওনা হই নলিন যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে ভূঞাপুর পৌর শহরের ডলি-কলি স্টোরের সামনে পৌঁছলে নলিনের একজন যাত্রী উঠানোর পর কয়েক গজ আগানো হলে স্থানীয় লোকজন বলল আমার সিএনজিতে আগুন লেগেছে। তিনি বলেন, এরপর তাৎক্ষণিক যাত্রীসহ আমি নেমে পড়ি। তখন মুহুর্তের মধ্যে পুরো সিএনজিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর লোকজন দ্রুততার সাথে আগুন নেবানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তারা এসে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও সিএনজির অনেক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে কিস্তি করে সিএনজিটি কিনেছিলাম। অভাব-অনটনে তিন সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবার চলতো সিএনজির টাকায়। তা চোখের সামনে মুহুর্তেই পুড়ে গেল আমার স্বপ্ন। এখন প্রায় দেড় লাখ টাকার কাজ করাতে হবে। এমন অবস্থায় কিস্তি ও পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা ছাড়া উপায় নেই।
সিএনজিতে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মো. আনিছুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়া হয় এবং দেখি আগুন জ্বলছে। পরে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ হয়ে আগুন লাগার সূত্রপাত হয়।