শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তার কর্তৃক ভর্তি রোগীকে লাঞ্চিত ও তার সহায়তাকারী বোনের উপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগকারী শেরপুর সদর উপজেলার চর মোচারিয়া ইউনিয়নের টান কাছাড় গ্রামের বাসিন্দ।
শেরপুর জেলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্ধ প্রতিবন্ধী সুমিজা খাতুন (২৫) নামক এক রোগী ডা. আলমগীর মোস্তাক আহাম্মদ এর নিকট পরামর্শ নিতে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তার বোন শাহানা খাতুনকে (৩৫) টেবিলে থাকা স্কেল দিয়ে বেদম প্রহার করে।
অভিযোগকারী অন্ধ প্রতিবন্ধী সুমিজা জানান, গত ৬ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। চিকিৎসকের দেয়া মেডিসিন খাওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় বুধবার দুপুরে ডাক্তারের চেম্বারে পরামর্শের জন্য যাই। ওই সময় আমার সাথে আমার বোন রুমে প্রবেশ করার অপরাধে ডক্তার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালি করে ও আমার বোনকে টেবিলে থাকা স্কেল দিয়ে প্রহার করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেডিকেল অফিসার ডা. আলমগীর মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, রুমের ভেতরে রোগীর অ্যাটেন্ডেন্স থাকার কারণে আমি তাকে বোর্ড দিয়ে আঘাত করেছিলাম।
জেলা হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি শুনলাম, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অভিযুক্ত ডা. আলমগীর মোস্তাক আহাম্মদ এর বিরুদ্ধে বিচারের দাবি জানান।