শীতের সবজিতে ভরপুর ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার। এতো দিন হাটবাজারে গ্রীষ্মকালিন সবজির আধিক্য থাকলেও নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীতের সবজির দেখা মিলছে।
বর্ষাকালে সবজির উৎপাদন কম থাকায় চড়া মূল্যে সবজি কিনে খেতে হয়েছে ঘিওর উপজেলাসহ সারা দেশের মানুষকে। মানুষ বেশি টাকায় খুবই অল্প পরিমাণ শাক-সবজি কিনে বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু এই অবস্থা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। ঘিওর বাজারসহ আসে পাশের হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে লাউ, ফুলকপি, মুলা, বেগুন, শিম, লাউশাক, ধনেপাতা, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা পেঁয়াজ গাছ সহ, মুলাশাক, পালং শাক, কাঁচামরিচ নিয়ে বিক্রেতারা বসে আছেন।
গ্রীষ্মের সবজির চেয়ে কিছুটা মূল্য কম থাকায় বিক্রিও হচ্ছে বেশি। সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েক পদের সবজি বাজারে আসবে। তখন সবজির মূল্য আরও কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ক্রেতা সাধারণের কিছুটা হাতের নাগালে সবজির মূল্য চলে আসায় সবাই আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে সবজি কিনে বাড়ি ফিরতে পারছে। বাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় লাউ আর মুলা ছাড়া অন্যান্য সবজির মূল্য এখনও যথেষ্ট চড়া রয়েছে।
বাজারে ফুলকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই শীতকালীন সবজির মূল্য কমে যাবে বলে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।