পুত্র সন্তান না থাকায় নিজের মেয়েদের জমি লিখে দেয়ায় আপন চাচা ও চাচাতো বোনের জামাইকে হামলা করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটে শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে। এতে বৃদ্ধ তমিজ উদ্দিন (৭৩) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৩২) আহত হয়। পরে তাদেরকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে প্রতিপক্ষের দায়ের আঘাতে ইসমাল তার মাথার দুইপাশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়।
এ ঘটনায় বৃদ্ধ তমিজ উদ্দিন বাদি হয়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা করায় অভিযুক্তরা তাদেরকে নানাভাবে ভাবে উল্টা হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান পরিবারটি। এতে ওই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অপরদিকে অভিযুক্তরা কিছুদিন পর পর এলাকায় এমন হামলা মামলার ঘটনা ঘটায় বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, দেশের প্রচলিত আইনে ছেলে সন্তান না থাকলে তার সম্পদের বেশ কিছু অংশ তার ভায়ের মালিকানায় চলে যায়। এর জন্য ভুক্তভোগী তার তিন মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যত চিন্তা করে তার নিজ জমি মেয়েদের নামে ৮ বছর আগেই রেজিষ্ট্রি করে দেন। এর পর থেকেই তার ছোটভাই নজিম উদ্দিন ও তার তিন ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা তার সাথে শত্রুতা করে আসছে। এর জের ধরেই ঘটনার দিন তাদের তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সে তার ছেলেদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাদের উপর।
এ ব্যপারে বাদী তমিজ উদ্দিন বলেন, আমি আমার সম্পদ আমার মেয়েদের লিখে দেয়ার কারনে তারা আমাকে ও আমার মেয়ের জামাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে অমানুষিকভাবে পিটিয়েছ। এখন তারা উলটা হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের হুমকির কারণে আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
গুরুতর আহত ইসমাইল জানান, আমাদের জমি তারা বেদখল করার পায়তারা করতেছে। সেদিন আমি প্রতিবাদ করায় লাল চান ও খোরসেদ মিলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়েছে। এ ব্যাপারে ইসমাইলের বড় ভাই শফিক বলেন, আমার নিরীহ ভাইটিকে এমনভাবে কুপিয়ে আহত করল। সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি তাদের বিচার চাই।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত খোরশেদ গ্রামের বিভিন্ন মানুষেদের জমি নিয়ে বিভিন্ন কৃত্তিম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করাই তার কাজ। ওই পরিবার অতীতেও কয়েকটি পরিবারকে পিটিয়ে জমি বেদখল করে রেখেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা চলমান আছে। তাদের যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এ ব্যাপারে মামলার আসামী মো. খোরশেদ আলী বলেন, আমরা তাদের কে কোন আঘাত করিনি, তাদেরকে প্রতিহত করেছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কামরুল হাসান বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আমরা মামলা গ্রহন করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।