ক্রিকেটের কুলিন সংস্করণে সিলেট টেস্ট দিয়েই অভিষেক হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর। আর নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচটাকেই স্মরণীয় করে রাখার মতো এক ইনিংস খেললেন। পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম।
এখনো পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ ওভার ২ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান। সবমিলিয়ে স্বাগতিকদের লিড এখন ১৯৭ রানের। হাতে আছে ৭ উইকেট।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ধীরগতির শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকেনি বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ২৬ রান তুলতেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনে এসেও সিলেটের উইকেটে খুব বেশি ভাঙন ধরেনি। তবে প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে কিছুটা হলেও বাড়তি টার্ন পাচ্ছেন স্পিনাররা। সেই টার্নেই পরাস্ত হলেন জাকির হাসান। ১৩তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টার্ন করে পায়ে আঘাত হানে। আম্পায়ার আউট দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ৩০ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন এই ওপেনার।
প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন এই ইনফর্ম ওপেনার। তবে আরো একবার ভাগ্যের কাছে হার মানতে হলো তার। ১৪তম ওভারের শেষ বলে টিম সাউদিকে স্টেট ড্রাইভ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই বল বোলারের হাত ছুঁয়ে উইকেটে গিয়ে লাগে, জয় তখন ছিলেন পিচের বাইরে। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে তিনে নেমে পাল্টা আক্রমণ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরেও ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হক জুটি। কিন্তু হঠাৎ দ্রুত সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন মুমিনুল। তিনি সাজঘরে ফেরায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৪১তম ওভারের শেষ বলটি ‘ভি’ জোনে খেলে দ্রুত সিঙ্গেলস নিতে চেয়েছিলেন মুমিনুল, তার ডাকে শুরুতে সাড়া দেন শান্ত। কিন্তু বল সরাসরি মিড অনের ফিল্ডারের হাতে যাওয়ায় আবার পিচের ভেতর ফিরে আসেন অধিনায়ক, কিন্তু মুমিনুল আর সময়মতো ফেরত যেতে পারেননি। ৪০ রান করে মুমিনুল ফেরায় ভাঙে ৯০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
এরপর দিনের বাকিটা সময় মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে পার করেছেন শান্ত। আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।