dailynobobarta logo
আজ মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | কনভার্টার
  1. অন্যান্য
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. গণমাধ্যম
  6. ধর্ম
  7. প্রযুক্তি
  8. বাংলাদেশ
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ নিবন্ধ
  11. লাইফস্টাইল
  12. শিক্ষা
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সারাদেশ
  15. সাহিত্য

লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন মামলার আসামীর জামিনে শোডাউন

প্রতিবেদক
কিশোর কুমার দত্ত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুন মামলার আসামীর জামিনে শোডাউন

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দেওয়ান ফয়সাল জামিনে মুক্ত হয়েছেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে শতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে তাকে বরণ করে নেয় নেতাকর্মীরা।

রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফয়সালের বড় ভাই রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর ভাষ্যমতে, ১৫ দিন আগে উচ্চ আদালত ফয়সালকে জামিন দিয়েছেন।জামিনের আদেশ লক্ষ্মীপুর কারাগারে পৌঁছতে সময় লেগেছে। সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগার থেকে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে রামগঞ্জের পানপাড়া বাজার থেকে তাকে বরন করে নেন। মামলায় লক্ষ্মীপুর আদালতে গিয়ে ফয়সাল নিয়মিত হাজিরা দেবে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় একটি জিডিও নেই। তবে সে বন্ধু পরায়ন। বন্ধুত্বের টানে সে বশিকপুর যাওয়া আসা করতো। ঘটনার দিন তার মোটরসাইকেলটি নষ্ট হয়ে যায়। এতে সে মোটরসাইকেলটি নাগেরহাট বাজারের পাশে রেখে আসে। পরে নোমান ও রাকিব হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তাকে জামিনে মুক্ত করে এনেছি। আমার ভাই খুনের সঙ্গে জড়িত নয়।

ফয়সাল রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক। জোড়া খুন মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে দল থেকে তাকে গত ৪ মে বহিস্কার করে জেলা কমিটি।

প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন রাতে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার পর ১ মে র‍্যাব ১১ মামলার ৩ নম্বর আসামি দেওয়ান ফয়সালকে ঠাকুরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রাতে লক্ষ্মীপুর আদালতে রাতে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময় এ মামলায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান আবুল কাশেম জিহাদী ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ - মানিকগঞ্জ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com