জসিম উদ্দিন, দুমকি প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর লেবুখালী-দুমকি-চরগরবদি সড়কে ছোট বড় অসংখ্যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, পথচারীসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকেরা।
এই সড়ক দিয়ে দূর-পাল্লার পরিবহন, আভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন বাউফল, দশমিনা, কালাইয়া, গলাচিপাসহ বিভিন্ন গন্তব্যের মালবাহী ট্রাক-লড়ি চলাচল করছে। এছাড়া উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজের মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের নিত্য যাতায়াত রয়েছে।
এছাড়াও সাপ্তাহিক হাটবারে (রবিবার ও বুধবার) প্রত্যন্ত এলাকার নিত্যপণ্য আনা নেওয়ার কাজেও এ রাস্তা ব্যবহার করেন। আরএন্ডএইচ বিভাগের মাত্র ১৭কি.মিটার সড়কের বেশীরভাগ এলাকাজুড়ে মাঝখানে ছোট বড় অসংখ্যে গর্ত হওয়ায় ছোট বড় যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পথচারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে গর্তের গভীরতা বুঝতে পারেন না চালকরা।
তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। গত ছয় মাসে লেবুখালীর পাগলা সংলগ্ন কাঠালতলা, সাতানী বাইপাস মোড়, লালখার ব্রিজ এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় একজন মোটরসাইকেল চালক, বাসের হেলপারসহ অন্তত: ৩জন নিহত ও ২০যাত্রী আহত হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি সরকারি জনতা কলেজের ২০/২৫ শিক্ষার্থী পিকআপ ভ্যানে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে লালখার ব্রিজ সংলগ্ন সড়কে উল্টে গিয়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন।
এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন চালক ইকবাল, জাহিদ মোহসিনসহ কয়েকজন জানান, দুমকি থেকে লালখা ব্রিজ, দুমকি সাতানীসহ বেশ কয়েকটি স্পটে গর্তের কারণে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টিতে পানি আটকে থাকায় অনেক গাড়ি উল্টে পড়ে। প্রায়ই গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার হলে আমরা উপকৃত হব। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাদ মো: জগলুল ফারুক জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক হওয়ায় আমাদের কিছুই করার নেই। বিষয়টি সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে যানবাহন ও পথচারীদের ভোগান্তি দূর করতে মাঝে মধ্যে সড়ক বিভাগের লোকজন এসে এসব গর্ত ভরাটের মাধ্যমে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল সচল রাখার কাজ করলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে ভোগান্তি কমছে না বরং সরকারী অর্থ লোপাটের পাশাপাশি জনভোগান্তি বেড়েই চলছে। অপর দিকে সড়কের যায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও অপরিকল্পিত ডিভাইডার নির্মাণেও ভোগান্তি বেড়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী- এম আতিকুল্লাহ মাসুদ বলেন- সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়মিত মেইটেন্সের টিমের মাধ্যমে এসব ছোট খাটো মেরামতের কাজ অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই দুমকির উল্লেখিত সড়কের মেরামতের কাজ করা হবে। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও অপরিকল্পিত ডিভাইডার নির্মাণ প্রশ্নে সরেজমিনে দেখে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।