আসন্ন বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। দেশে এবার মোট চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ভোটের হাওয়া লেগেছে রাজপথ, অলিগলি এবং রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতেও। সরব আলোচনা চলছে কে হতে যাচ্ছেন আগামী বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান? কে নির্বাচিত হতে পারলে সাধারণ জনগনের পাশে থাকবে। সাধারণ মানুষের হাঁকে ডাকে কে এগিয়ে আসবে, কার হাতে বাসাইলের উন্নয়ন হবে বেগবান এসব নিয়েই চলছে নানা সমীকরণ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেয়ায় নির্বাচন বিমুখ দলগুলোর প্রার্থীদের আনাগোনা এবার বেশ সরব। তাই এবার বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ জামায়াতের প্রার্থীরাও এখন ভোটের মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতা ইঞ্জি: সোহরাব হোসেন মিয়া বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এবার জয়ের জন্য লড়বেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি । যার ফলশ্রুতিতে বাসাইল উপজেলার প্রতিটি গ্রাম, অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন সেই সাথে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা এবং পথসভা করে যাচ্ছেন।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিএনপির দলীয় সক্রিয় প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব মিয়া জানান, আমি বাসাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে সহ- সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছি। প্রায় ৪০ বছর যাবত আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি রাজপথে থেকেছি। যার ফলশ্রুতিতে তৃণমূলে আমার একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহন প্রসঙ্গে তিনি জানান, যদিও আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার ক্ষমতায় তবে এবার নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক বরাদ্দ না দেয়ায় সাধারন ভোটারদের মাঝে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রবনতা রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো স্বাধীনতা পরবর্তীতে সংসদ সদস্য হিসেবে বাসাইল উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচিত হয়নি। এ জন্য এখনো বাসাইল উপজেলাতে লক্ষনীয় উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। রাস্তাঘাটগুলো এখনো অনুন্নত, অবকাঠামোগত উন্নয়নও তেমন একটা হয়নি। তাই বাসাইল উপজেলার মানুষ এবার পরিবর্তন চায়, চায় নতুন মুখ। তৃণমূলের সাধারণ মানুষের দাবির মুখেই আমি প্রার্থী হয়েছি। শুধু তাই নয় আমি প্রার্থী হলে বাসাইল উপজেলা বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের মাঝে একতা ফিরবে এবং সম্মিলিতভাবে আমার নির্বাচন করবে বলে আশা করি। তিনি আরও বলেন, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসন সুষ্ঠু এবং অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে। এ সময় তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য ৬টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে বাসাইল উপজেলা গঠিত। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার। বর্তমানে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলাম বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।