আমিনুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি থাকলেও জনবল সংকটে বেহাল অবস্থায় পরিনত হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও উন্নত সেবা মিলছে না। এদিকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় প্রয়োজনীয় শিশু চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রোগীদের।
রোগী ও স্থানীয়রা বলছেন,আল্ট্রাস্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে এক্স-রে করার সেবা পাওয়া যায় না, ফলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এসব করাতে হয়। ডিজিটাল এক্সরে মেশিন থাকলেও অপারেটর না থাকায় সেটি অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা প্রদানসহ আউট ডোরে সেবায় প্রদানে নেই পর্যাপ্ত লোকবল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পঞ্চাশ শয্যা হাসপাতাল হিসেবে ১৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে ৫ জন চিকিৎসক দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা।২৫ জন নার্সের বিপরীতে ১৪ জন নার্স দিয়ে চলছে রুগীদের সেবা।
এছাড়াও হাসপাতালটিতে ৫ জন ক্লিনার থাকার কথা, সেখানেও কম দেখা যাচ্ছে। এক্স-রে অপারেটরসহ প্রতিটি সেক্টরে জনবল সংকটে এক প্রকার বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে হাসপাতালটি। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে বা দূরে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন এলাকার জনগোষ্ঠী। ফলে দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালটির সকল সংকট নিরসনের দাবি স্থানীয়দের।
শিশু চিকিৎসাসেবা নিতে আসা দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার মোসলেহা বেগম বলেন, আমার ৬ মাস বয়সী সন্তানের চিকিৎসা নিতে এসে শিশু বিশেষজ্ঞ শাহানা আফরিনের দেখা পাইনি। পরে জরুরি বিভাগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছি।’
সিঙ্গীমারী থেকে আসা সিরাজুল নামে একজন বলেন, ‘হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে মেশিন, ইসিজি, আল্ট্রাস্নোগ্রাম সহ সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মুহাম্মদ হাসানুল জাহিদ জনবল সংকটের বিষয়টি শিকার করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জনবল চাহিদা পাঠানো হয়েছে এবং যোগাযোগ অব্যাহত আছে।