আল মামুন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। তাপদাহর কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং কর্মরত ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবায় বেহাল অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে (২৫ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় গিয়ে দেখা যায় ২ জন এমবিবিএস ডাক্তার রোগী দেখায় ব্যস্ত। উপচে পড়া ভীড়ের মাঝে ২ জন কর্মরত। একাধিক নার্স বসে থাকলেও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পুরুষ ও মহিলা রোগীদের কক্ষে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের আহাজারি। রোগীদের অভিযোগ গতকাল দুপুরে ডাক্তার রাউন্ড দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তারের দেখা মেলেনি।
ভুক্তভোগী ঘিওর ডি এন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আবু দাউদ বলেন, গত রাত এগারোটার সময় ভর্তি হয়েছি এখন সকাল ১১টা এখন পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা মেলেনি। পেটের ব্যথায় অনেক কষ্টে আছি মাঝে মধ্যে নার্সরা এসে দেখে গেলেও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না।
ঘিওর উপজেলা বটতলা বাসী মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল বিকালে ভর্তি হয়েছি এখন পর্যন্ত কোনো ডাক্তার আমার কাছে আসেনি। সরকারি হাসপাতালে যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
বাউল শিল্পী লিটন সরকার জানান, আমার দীর্ঘদিন যাবত জ্বর এক সপ্তাহ যাবৎ আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আমাকে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হয়েছে।
হাসপাতালের রিসিপশন এরিয়ায় ওষুধ কোম্পানির লোকের ভিড়ের চাপে রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: হাসিব আহসানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান আমি মানিকগঞ্জে অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত আছি। ফিরে এসে কথা হবে।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাসপাতালের বিষয়ে আমি অবগত। এ বিষয়ে আমি অনেকবার বলেছি হাসপাতালের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য।