লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব হত্যা মামলার আরো এক আসামি (৫ নং) আনোয়ার হোসেন দুলাল ওরপে পাহাড়ি দুলালকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহুত একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ মামলায় এ পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ মো ৬ে জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ের আয়োজন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার তারেক বিন রশীদ। এর আগে খুলনার ডুমুরিয়া থানাধীন শরাপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান, সে সজিব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৫ নম্বর আসামি দুলাল ঘটনার পর আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ এবং খুলনা জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করে।
দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোররাতে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। দুলালের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এ মামলার অন্য আসামিদের নামও বলেছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকেও গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গেল ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা ও গুলি বর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এম সজিব। এঘটনায় সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী বাবলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।