লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি সেলাই মেশিন চুরি করে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিব মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের এলজিএসপি (লোকাল গভার্মেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রশিক্ষনার্থী দুস্থ মহিলাদের মাঝে বিতরণকৃত ২০টি সেলাই মেশিনের মাঝে ৩টি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন সচিব। পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ানম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু বিষয়টি জানতে পারলে বিক্রিত সেলাই মেশিনগুলো ৩ জন ব্যক্তির বাড়ি থেকে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার করেন। উদ্ধার করা মেশিন গুলো চেয়ারম্যানের হেফাজতে রয়েছে।
সিংগিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডে সদস্য নুর ইসলাম রন্টু জানান, ইউপি সচিব কাউকে না জানিয়ে গোপনে ৩টি সেলাই মেশিন চুরি করে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ দিয়ে মেশিনগুলো উদ্ধার করা হয়।
গ্রাম পুলিশ আজিজুল ইসলাম বলেন, কাউকে না জানিয়ে সচিব সাহেব ৩টি সেলাই মেশিন বিক্রি করে দেন। তবে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমিসহ আমার সহকর্মীরা ৩জন ব্যক্তির বাড়ি থেকে চুরি করে বিক্রিত সেলাই মেশিনগুলো উদ্ধার করে পরিষদে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে সেলাই মেশিন ক্রয়কারী রুমা বেগম ও মরিয়ম বেগমের সাথে কথা হলে সচিব মইনুল ইসলামের কাছ থেকে সেলাই মেশিন নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। মরিয়ম বেগম আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে আমি প্রশিক্ষণ দেই নাই। আমি টাকা দিয়ে সচিবের কাছ থেকে সেলাই মেশিন কিনে নিয়েছি। মরিয়ম বেগমের সাথে এ প্রতিনিধি কথা বলার সময় সচিব মইনুল ইসলাম মরিয়ম বেগমের মুঠোফোনে ফোন করে সাংবাদিকদের তথ্য দিতে নিষেধ করেন।
ইউপি সচিব মইনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না, আপনি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলেন।
সিংগমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুুলু বলেন, বিষয়টি জেনে মেশিন উদ্ধার করে রেখেছি। খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা পেলে অবশ্যই সচিবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।