পটুয়াখালীর আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে জেলে ভিজিএফ বরাদ্দের ৩শ’ ১৮বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে প্রশাসন।
আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘর থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের সরকারি বস্তায় ৩শ’ ১৮বস্তা চাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের হেফাজতে রাখেন।
এ বিষয় আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমকে জানান, ইউনিয়নটির ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের অসচ্ছল জেলেদের আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল নিতে অতিরিক্ত খরচ বাচাঁতে তিনি চালগুলো বাড়ি এনেছিলেন। আজ রবিবার সাকালেই সুবিধাভোগী জেলেদের মাঝে এ চাল বিতরেন জন্য স্লিপ দেওয়া হয়েছে, রাত পোহালে সকাল থেকেই ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হবে। এখানে তার খারাপ কোন উদ্দেশ্য ছিলনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার (২৯ জুন) রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার জলিশাস্থ গ্রামের বাড়ির একটি আধাপাকা ঘর থেকে ৩শ’ ১৮বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন।
এসময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, দুমকি থানার অফিসার ইনচার্য তারেক মোঃ হান্নান ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের সময় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসে বলেন- পূর্বাঞ্চলের ৭, ৮ ও ৯নং ইউনিটের সুবিধাভোগী জেলেদের কেরিং খরচ বাচাঁনোর জন্যই ৩শ’ ১৮ বস্তা চাল বাড়িতে এনেছেন এবং তা রবিবার সকাল থেকে বিতরণের কথা ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে না জানিয়ে বাড়িতে আনা ঠিক হয়নি উল্লেখ করে তিনি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট গুদামের বাইরে সরকারি বরাদ্দের চাল রাখা বিধিসম্মত নয়। পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং প্রশাসনকে না জানিয়ে কোন বাড়িতে সংরক্ষনের সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, চাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।