প্রতিনিয়ত ঘিওর থানা মোড়ে ড্রেনের পানি উপচে রাস্তা ডুবে যায়। ড্রেনের পানি নাপাক (নোংরা)। এমন পানির ওপর দিয়ে নামাজে যায় অনেক মুসল্লি। এতে কতটুকু পবিত্রতা বজায় থাকে বলেন।’ কথাগুলো বলেছিলেন ঘিওর থানা মোড় এলাকার ব্যবসায়ী নারায়ন ঘোষ। নারায়ন ঘোষ ঘিওর থানা মোড় এলাকার জয় রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী।
তিনি বলেন- এই বিষয়গুলো চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের একাধিকবার জানালেও কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি। সরেজমিনে সোমবার (২৪ জুলাই) দেখা যায় এই মোড়ে ড্রেনের নোংরা পানি উঁপচে রাস্তায় চলে আসে। ফলে স্থানীয়রা ছাড়াও বাইরে থেকে আসা জনগণও বিপাকে পড়েন। স্থানীয়রা জানান, ড্রেনের নোংরা পানির কারণে চলাচল, নামাজে যাওয়াসহ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালাতেও সমস্যা হয়।
স্থানীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন- আমাদের এই ড্রেন করেছেন চেয়ারম্যান এটা খুব ভালো করছেন। কিন্তু ড্রেনের সংস্কার করতে হয় এটা হয়তো তিনি জানেন না। আবর্জনা যদি একবার ওঠানোও হয় সেখানেই আবার রেখে দেওয়া হয়। এতে করে ড্রেনের ময়লা আবার ড্রেনেই চলে যায়। ফলে ড্রেন বন্ধ হয়ে পানি উপচে আসে রাস্তায়। এই নোংরা পানির উপর দিয়ে যেতে হয় নামাজে। পবিত্র থাকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ ফরিদ মিয়া বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই ড্রেনটি যেন ঠিক করে দেন। ড্রেনের নোংরা পানির ওপর দিয়ে নামাজে আসতে হয়। পবিত্রতা থাকে না।
এ বিষয়ে ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন- ড্রেনের উপর দিয়ে মাটির ট্রাক চলাচল করার কারণে ড্রেন ভেঙে গেছে এতে ময়লা আবর্জনা গিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে হাতে কোন ফান্ড নেই। ফান্ড পেলে ড্রেন মেরামতের কাজ করা হবে।