টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুরে ১১ জন বন পাহারাদার ও সংরক্ষককে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে এই অনুদান উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ও নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ মোঃ ফরিদ মিঞা।
এর আগে নোয়াখালী বন বিভাগ ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা উদ্বোধন করা হয়। পরে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে ঝুমুর চত্বর প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বৃক্ষ রোপণ করেন অতিথিরা।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেলা সহকারী বন সংরক্ষক ফিরোজ আলম চৌধুরী, নোয়াখালী সহকারী বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক, রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সদর নার্সারী রেঞ্জসহ বন বিভাগ বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলার দালালবাজার আনসার অফিস হতে ইছাক মিয়ার তেমুহনী পর্যন্ত ২ কিলোমিটারের সংযোগ সড়কে সামাজিক বনায়নের ১১ জন উপকারভোগীর মাঝে ৫৫ হাজার টাকা করে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়। এর আগে উপকারভোগীদের মাঝে ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫০ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগে ২ বাগানের ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৭ টাকা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেল ৫ লাখ ৭ হাজার ৭২৯ টাকা, দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ পেল ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮০ টাকা, উত্তর হামছাদি ইউনিয়ন পরিষদ পেল ৭১ হাজার ৮৪০ টাকা, দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়ন পরিষদ পেল ৪৯ হাজার ৫৬০ টাকার), দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদ পেল ৫৬ হাজার ২৭ টাকার চেক তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় বনবিভাগের উপকারভোগী হিসেবে সরকার প্রদত্ত চেক পেয়ে সকলের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা সকলে সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।