আজ ২৯শে অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। বছরে ২৯শে অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালিত হয়। বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক-এ প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। স্ট্রোক হলো মস্তিস্কে রক্ত চলাচলে বিঘ্নিত হলে বা সরবরাহে কোন প্রতিবন্ধকতা হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয় অথবা রক্তনালী ছিঁড়ে স্ট্রোক হয়।
২০২১ সালে বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো, “প্রতিটি মুহুর্ত মুল্যবান”। ২০২২ সালে বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের প্রতিপাদ্য স্লোগান ছিলো, “প্রতিটি মিনিটে জীবন বাঁচায়”।
আমরা কিভাবে বুঝবো স্ট্রোক হয়েছে। স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী চেনার উপায় হচ্ছে।
১. মুখ বেকে যাবে,
২. হাত একদিকে ঝুলে যাবে,
৩. শক্তি কম পাবে,
৪. চোখে ঝাপসা দেখবে,ও
৫. রোগির কথা জড়িয়ে যাবে। এছাড়াও তীব্র থেকে তীব্রতর মাথাওব্যথার সাথে রোগী হঠাৎ করে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে।
স্ট্রোক রোগীর করুণদশা হলোঃ স্ট্রোক আক্রান্ত হলে, পর্যায়ক্রমে, স্ট্রোকে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ ভাগ মারা যায়, আর ৩০ ভাগ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারা বেঁচে থেকেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন। এবার আসি স্ট্রোক কেন হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণের মতে, স্ট্রোকের প্রধান কারণ হলো:-
১. অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন,
২. ডায়াবেটিকস অনিয়ন্তিত,
৩. নিয়মিত মদপান,
৪. কায়িকশ্রম না হওয়া অর্থাৎ নিয়িমিত ব্যয়াম না করা।,
৫. ফাস্টফুড বা জাঙ্গ ফুড গ্রহণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
আমাদের দেশের মৃত্যুর প্রধান কারগুলোঃ আমাদের দেশে প্রথমত সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি মৃত্যু হয়, তারপর হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ তারপরেই স্ট্রোকে মৃত্যু হয়। এবার আসি বিশ্বের অন্যতম হাসপাতাল এবং থাইল্যান্ডের শীর্ষ হাসপাতাল Bumrungrad International Hospital, Bangkok, Thailand- তথ্যমতে- বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৩ মিলিয়ন মানুষ স্ট্রোকের সম্মুখীন হয়। বিশ্বের দ্বিতীয় মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক।
তবে তাদের মতে সুখবর হলো, আমরা সচেতন হলে এই নিমোক্ত রোগগুলি নিয়ন্ত্রণ কর্তে পারি। উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার মতো নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকিগুলি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্ট্রোক ঝুঁকির কারণঃ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, ধূমপান, ওরাল গর্ভনিরোধক, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা কায়িকশ্রম না করার ফলে শরীরের অসাড়তা এবং ব্যায়ামের অভাব। এই সমস্যা গুলি আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি এবং সুস্থ থাকতে পারি। আর যদি করি তবে, ৮০ ভাগ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
বিশ্বএর অন্যতম ম্যগাজিন, নিউজউইক দ্বারা স্বীকৃত থাইল্যান্ডের শীর্ষ হাসপাতাল এবং বিশ্বে অন্যতম সেরা হাসপাতাল হিসাবে ব্যাংককের Bumrungrad International Hospital, সাহায্য করার জন্য এখানে রয়েছে। নিউরোসায়েন্স সেন্টারের অত্যন্ত অভিজ্ঞ নিউরোলজি দল রোগীর সর্বোত্তম ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারসোনালাইজড, প্রমাণ-ভিত্তিক যত্ন প্রদান করে।”
তাই বলবো, সুস্থ থাকতে চাইলে, শরীরের সহনশীল খাবার গ্রহণ করি, সকল ক্ষতিকর খাবার বর্জন করি ও নিয়মিত ব্য্যয়াম করি।
মোঃ মজিবর রহমান মুজিব
মার্কেটিং কোঅর্ডিনেটর।
বামরুনগ্রাড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড।