তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট বা ভেপিং নতুন একটি অস্ত্র। যা এ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। তামাক কোম্পানী সুকৌশলে এসব পণ্য তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট বা ভেপিং নিষিদ্ধ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর), দুপুর ১ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত ‘ই-সিগারেট ও ভেপিং নিষিদ্ধ করুন’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বৃতির বরাত দিয়ে বলেন, ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টকে স্বাস্থের জন্য মারাত্নক ক্ষতির পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি, ই-সিগারেটকে তামাক পণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানও বিদ্যমান এই ই-সিগারেটে।
বক্তারা আরো বলেন, তামাক কোম্পানী সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনস্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানির পায়তারা করছে। তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও জানান তারা। তামাক কোম্পানী এই অপতৎপরতা রুখতে হবে। তরুদেরকে বাঁচাতে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো: মোখলেছুর রহমান, সহকারী পরিচালক ডা: নায়লা পারভীন, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সমন্বয়কারী মো শরিফুল ইসলাম, পাবলিক হেলথ এ্যাডভোকেট ও তামাক বিরোধী সংগঠক সৈয়দ মাহবুবুল হক, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্স সেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, এইড ফাউন্ডেশনের আবু নাসের অনিকসহ আরোও অনেকে।