লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রমিক লীগ নেতা মো. জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে (২২) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহাদাত নামে আরেক যুবক জোবায়েরকে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে ওই গৃহবধূ।
অভিযুক্ত জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ও চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্তর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে। শাহাদাতের একই এলাকার সাহাবুদ্দিনের ছেলে। ভিকটিম নারী ওই এলাকার এক অটোরিকশা চালকের স্ত্রী।
গৃহবধূ অভিযোগ করেন, গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে তিনি বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যাবার পথে শাহাদাত তার গতিরোধ করে। এসময় তাকে জোরপূর্বক শ্রমিকলীগ নেতা জোবায়েরের অফিসের নিয়ে তার হাতে তুলে দেয়। শাহাদাত বাহিরে পাহারায় ছিল। সেখানে জোবায়ের তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি অন্য কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।
ওই গৃহবধূর মা বলেন, আমি চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে কাজ করি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে আমি গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের বাড়ি থেকে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে যাবার পথে শাহাদাত তাকে জোবায়েরের হাতে তুলে দেয়। পরে জোবায়ের তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে মেয়ের সর্বনাশ করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। তিনি জানান, এক বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক লীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। পুলিশ শনিবার রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবসত আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।
রামগতি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূকে দেখে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা কার্যক্রম শেষ করেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।