মানিকগঞ্জের ঘিওর শ্যামগঞ্জ সড়কের কুস্তা খালের উপর ৪২ বছর আগের নির্মিত যাতায়াতের পুরাতন স্টিল ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে এক বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়। এখানে নতুন করে ঘিওর সদর সড়ক থেকে কুস্তা-শ্যামগঞ্জ জিসি সড়কের কুস্তা ইছামতি নদীর উপর জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দে ৫০.০০ মিটার আরসিসি (RCC) ব্রিজের যৌথভাবে নির্মাণের কাজ পায় MAE & MMT-JV ট্রেডার্স।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুইটি সাইডে কিছু নির্মাণ সামগ্রী এনে ফেলে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রীর উপর গজিয়ে উঠেছে ঘাস-লতাপাতা সাথে রডে ধরছে মরিচা। দ্রুত ব্রিজটির কাজ শুরু না হওয়ায় কুস্তা খালের ওপারে সরকারি খাদ্য গুদাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, কবরস্থান, কুস্তা মহাশ্মশান সহ যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষজন।
সোমবার ২১ অক্টোবর সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী চিরচেনা সেই ঘিওর হাটের কুস্তা খালের উপর ব্রিজটি জরুরি ভাবে নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ঘিওর গরুহাটা খালের উপর ছোট একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছে বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষজন। দেখার যেন কেউ নেই!
কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান কুদরত জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ঘিওর-কুস্তা খালের উপর নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ বিলম্ব হওয়ায় কুস্তা, নারচি, রসুলপুর, খলসি, বিষ্ণুপুর, জিয়নপুর সহ দুর্ভোগে পড়েছে ৩০ গ্রামের মানুষজন। যাতায়াতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসির চলাচলের পথ সচল করতে দ্রুত সময়ে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, কুস্তা খালের উপর অনুমোদনকৃত নতুন ব্রিজটি যথা সময়ের মধ্য নির্মাণ হলেই যানবাহন সহ মানুষজনের যাতায়াতের দুয়ার আবার নতুন করে সচল হবে। চলাচলের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে ঘিওর-কুস্তা সহ বিভিন্ন এলাকার যাতায়াতকারী মানুষজন।
ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফ ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঘিওর সড়কের কুস্তা খালের উপর বহু বছরের পুরাতন স্টিলের ব্রিজটি হেলে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি গত বছর অপসারণ করা হয়। একই স্থানে নতুন একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ বরাদ্দ হয়েছে। চলতি বর্ষার পানির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। খাল থেকে কিছুটা পানি নামলেই ব্রিজটির কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরুর বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে।