জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাড়ির পাশে থাকা গাছ থেকে মান্না মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে এটিকে হত্যা বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১টায় বগারচর ইউনিয়নের ঘাসিরপাড়া মন্ডলবাড়ি গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মান্না মিয়া ঘাসিরপাড়া মন্ডলবাড়ি এলাকার কৃষক আছলাম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাটি রহস্যজনক। কারণ মান্না মিয়ার গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দেওয়া থাকলেও তার পা দুটি ছিলো মাটিতে লাগানো। এছাড়া মান্নার পায়ের আঙুল থেকে রক্ত ঝরছিল।
মান্নার বড় ভাই আমির হোসেন জানান, শনিবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মান্না মিয়া। রাত ১২ টার দিকে বাবা আছলাম মিয়া মান্নাকে তাঁর বিছানায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে আবার ঘুমিয়ে যান। ভোরে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোতালেব হোসেন নামাজ পড়তে গিয়ে গাছের সঙ্গে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
তিনি আরও জানান, তিন দিন আগে প্রতিবেশী সোনা মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মান্না মিয়ার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে শফিকুল ইসলাম মান্না মিয়াকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর তিন দিন পর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।